সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব কালী পূজা উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ টানবাজার সার্বজনীন কালীপূজা কমিটির আয়োজনে সাংস্কৃতিক ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণ করলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর ) রাতে নারায়ণগঞ্জ টানবাজার শ্রী শ্রী বঙ্গবিহারী জিউর আখড়ায় ও হনুমান জিউর মন্দির প্রাঙ্গণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে টানবাজার সার্বজনীন কালীপূজা কমিটির সভাপতি রঘুনাথ সাহা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সদ্য নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল তার বক্তব্যে বলেন, এটা হচ্ছে আমাদের বাঙালির উৎসব। নারায়ণগঞ্জের যেটা আছে আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসাথে বসবাস করে যাচ্ছি। কেননা সকল ধর্মের শেষ ঠিকানা কবরস্থান, শ্মশান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ মাসদাইল এক জায়গায় পাশাপাশি রয়েছি।
তিনি আরোও বলেন, নারায়ণগঞ্জে অনেক সময় আমাদের বিনষ্ট করার চেষ্টা করেছে আমরা সৌভাগ্যবান’ যেখানে ওসমান পরিবার রয়েছে। সে বংশপরম্পরায় জোহা সাহেব আমল হতে ১৯৬৪ সাল থেকে যে রায়টের কথা শোনা যায় ১৯৮৬ সালে মিরাটে দাঙ্গা, ১৯৯২ বাবরি মসজিদ নিয়ে হাঙ্গামা হয়েছিল সে সময় নাসিম ওসমান ও শামীম ওসমান ছিলেন। কুমিল্লা তে একটি ঘটনা ঘটে গেল একদম পরিকল্পিত। বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু সম্প্রদায়িক মিলেমিশে থাকে,একটি মহল সেটা চাচ্ছেনা। আমাদের নারায়ণগঞ্জে কিন্তু শামীম ওসমান থাকায় সেটা হতে পারে নাই।
চন্দন শীল আরোও বলেন, আমরা করোনা সময় অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। সে সময় মোবাইলের মাধ্যমে ছাত্র- ছাত্রীদের অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা হয়েছে। তা এখন মছাত্র-ছাত্রীরা মোবাইল ছাড়তে পারছে না। মোবাইল ফোন থেকে তাদের ফিরিয়ে আনতে হলে এ ধরনের অনুষ্ঠান বেশি বেশি করে করতে হবে। বাচ্চারা যখন পড়াশোনা করে তখন অভিভাবকরা যেন খেয়াল রাখে।
সামনে সরস্বতী পূজা আছে সেটা যেন সার্বজনীন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে কমিটিকে। ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের প্রতি ভালোবাসা রেখে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানও করতে হবে। প্রয়োজনে আপনাদের পাশে থাকব। পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে বাচা দের জাগ্রত করতে হবে।
কমিটির নেতৃবৃন্দরা বলেন, আমাদের পূজা কমিটির অক্লান্ত প্ররিশ্রমের বিনিময় বিভিন্ন ব্যবসায়ী কাছ থেকে সহযোগীতা নিয়ে এ পূজার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এছাড়া পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ দুর্যোগমময় ঘুর্ণিঝড়ের মধ্যেও অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এবং চার দিনব্যাপী এই শ্যামা মায়ের পূজা উপলক্ষে প্রথম দিনে একশত ৮টা প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, দ্বিতীয় দিন ২৫ অক্টোবর অসহায়দের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, তৃতীয় দিন শ্যামা মায়ের পূজা অর্চনায় আরতী অনুষ্ঠান, চতুর্থ দিন স্কুলের শিশু বাচ্চাদের নিয়ে তিনটি বিভাগে বিভক্ত করে সর্ব মোট ৩১৭ জন প্রতিযোগীদের মধ্যে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় ৩৫ জন বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ আয়োজন করেছেন টানবাজার সার্বজনীন কালীপূজা কমিটি।
অনুষ্টানে টানবাজার সার্বজনীন কালীপূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভ্র সাহার অভ্যুত্থানে ও কমিটির কোষাধ্যক্ষ শুভ চন্দ্র দাসের সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন অমিতাব চক্রবতি,টানবাজার সার্বজনীন কালীপূজা কমিটির কার্যকরী পরিষদের উপদেষ্টা তাপস রুদ্র, সুব্রত কুমার সাহা,সিনিয়র সহ-সভাপতি সৌরভ ঘোষ, সহ- সভাপতি প্রতিক ঘোষাল (পল),রোটারীয়ান আই পিপি ও আলফা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স লিঃ অ্যাসিস্ট্যান্ট সেলস ম্যানেজার সুমা রুদ্র,সাংস্কৃতিক সম্পাদক সমরজিত চক্রবর্তী (মিতু) সহ কমিটির নেতৃবৃন্দগণ।