নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা ইউনিয়নের ৬টি ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ফতুল্লার ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ফতুল্লার পাইলট স্কুলের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাও করে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এসময় বিক্ষুব্দরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি জানান। পরে সদর ইউএনও রিফাত ফেরদৌস দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ত্যাগ করে।
জানা গেছে, ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও সেহারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে বছর জুড়েই ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত হাঁটু পানি জমে থাকছে। গত কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুম থেকে শুরু করে সারা বছরজুড়েই পানিতে ডুবে থাকে স্কুল দুইটির প্রবেশ পথ। জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্প কারখানা বিশেষ করে ডাইংয়ের দূষিত তরল বর্জ্যের কারণে এসিডযুক্ত কালো পানিতে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের জীবন।
মঙ্গলবার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে মিছিল সহকারে সদর ইউএনও কার্যালয়ে এসে জড়ো হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, সেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ফরিদ আহমেদ লিটনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরে তারা সদর ইউএনও রিফাত ফেরদৌসের কাছে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
শিক্ষার্থীরা ও নেতৃবৃন্দ বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় দু’টি স্কুল ছাড়াও বেশ কিছু মসজিদ, কবরস্থান রয়েছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠান তথা ডাইয়ের দূষিত পানির কারণে আমরা চরম বিপাকে রয়েছি। আগামী ৭ দিনের মধ্যে জলাবদ্ধতার নিরসনের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌস বলেন, আমরা এই সমস্যা নিয়ে এর আগেও বসেছি। সমস্যাগুলো আসলে এক জায়গায় নেই। রেলওয়ের প্রকল্পের কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ডাইং কারখানাগুলোরও পানি নিস্কাশনের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থা করেনি। ওই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি ৪টি সড়ক ড্রেনসহ নির্মাণের জন্য সদর উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা শীঘ্রই সরেজমিনে দেখে দ্রুত প্রকল্প গ্রহণ করবো। পাশাপাশি ডাইং কারখানাগুলোর মালিকপক্ষকেও আমরা এ বিষয়ে চিঠি দিব যাতে তারা ডাইংয়ের পানি সড়কে কিংবা ড্রেনে নিক্ষেপ না করে। আমাদের চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকবেনা।