গ্যাস সঞ্চালন লাইনে কাজ করার জন্য ৭ দিন গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকার ঘোষনা দেয়ার পর রবিবার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সংকটে পড়তে হয়েছে গ্রাহকদের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার পরিবার।
সোমবার বিভিন্ন এলাকয় ঘুরে দেখা যায়, গ্যাস না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার পরিবারকে। রান্না বন্ধ হয়ে গেছে তাদের। বিশেষ করে গ্যাস না থাকায় ছোট শিশুদের খাবার তৈরিতে বেশি সমস্যা হচ্ছে।
জামপুর এলাকার বাসিন্দা ডা. আবু সাঈদ বলেন, হঠাৎ গ্যাস সরবারাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রান্না বন্ধ হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন গ্যাস ব্যবহার করায় লাকড়ির চুলোয় রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই হোটেল থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে। অনেকেই শুকনো
খাবার- চিড়া, মুড়ি, রুটি-কলা খেয়ে দিন পার করছেন। উপজেলার পিরোজপুর এলাকার বাসিন্দা বাহাউদ্দিন বলেন, আজ থেকে ৭দিন গ্যাস থাকবেনা বিষয়টি মেনে নেয়া যায়না। দিনের বেলা বন্ধ থাকলেও রাতে অন্ততপক্ষে চালু করে দেয়া উচিৎ।
হঠাৎ করে দিন-রাত সমানে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে ৭দিন বন্ধ রাখলে চলবে না। আমরা তিতাসগ্যাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামাবো। চেঙ্গাকান্দি এলাকার গৃহিনী সালমা বেগম বলেন, এভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করায় চরম বিপাকে আছি আমরা। ৭ দিন নয়, দ্রুত এর সমাধান হওয়া দরকার।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ শাখার টেকন্যাশিয়ান মোস্তফিজুর রহমান বলেন, মিল কারখানায় গ্যাস না থাকার কারণে আমরা সঞ্চালন লাইনে কাজ করছি। তাই ৭ দিন পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। কাজ শেষ হলে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।