নারায়ণগঞ্জ গোগনগরে মাদক বিক্রিতে বাধা দিলে ব্যবসায়ী এম. এম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোঃ মিজানুর রহমানকে বেধড়ক মারধর করে প্রতিষ্ঠান হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে মাদকের ডিলার আবুল কালাম গং এর বিরুদ্বে।
গত শুক্রবার (৪ নভেম্বর)সকাল দশটায় গোগনগর উইনিয়নের ফকির বাড়ি বাড়ীরটেক মোঃ মিজানুর রহমান এম. এম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ এর পরিত্যাক্তস্থানে দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসা চলমান থাকায়
কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে দাদা দানকালে মিজানুর রহমান (৪০)কে বেধড়ক ভাবে মারধর করে ওয়ার্কসপ ভাংচুর চালিয়ে ঘরে থাকা টাকা লুট করা হয়।
এবিষয়ে মৃত হাজী আব্দুল আজিজ সরদারের ছেলে ও এম. এম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোঃ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
মিজানুর রহমান অভিযোগে উল্লেখ করেন, গোগনগর (পশ্চিম) ফকির বাড়ি বাড়ীরটেক আমার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান এম. এম ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ এর দোকানের পিছনে একটি জায়গায় গরুর (ক্যাটল) ফার্ম এবং কিছু অংশ প্রায়শ খালি অবস্থায় রয়েছে। উক্ত জায়গায় বেশকিছুদিন যাবত স্থানীয় মাদক কারবারিরা মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে আবুল কালাম (২০), জামাল হোসেন ছেলে মৃদুল (২০), পিতা অজ্ঞাত মোঃ আলিফ (১৯), বাপ্পি (২০), উকিল মিয়ার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২২), পিতা-অজ্ঞাত অনিক (১৮)সহ আরো অনেক বহিরাগত মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবী দীর্ঘদিন যাবত আশেপাশে থাকা বাড়িঘরে মেয়েদের ইভটিজিং করে আসে। জায়গাটি দখলকরে অসামাজিক কার্যকলাপ করে আসছে। আমি উল্লেখিত ব্যক্তিদের অনেকবার আমার স্থান থেকে মাদক ব্যবসাসহ অসামাজিক কার্যক্রম না করার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু তারা আমার কথা কোন প্রকার কর্ণপাত না করে তাদের তারা সংঘবদ্ধভাবে সন্ত্রাসী দ্বারায় তাদের কর্মকান্ড ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত এলাকায় অনেকে পরিবার- পরিজনদের বিভিন্ন সময়ে নানারকম কুটক্তি ও মেয়েদের ইভটিজিং করে এবং রাতে হইচই ও উচ্চম্বরে নাচিল্লা করে, যার ফলে অনেকে তাদের উক্ত পরিত্যাক্ত স্থানে যেতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের মারমুখী হয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি প্রধান করে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, দলবদ্ধভাবে পরিত্যাক্তস্থানে মাদক নিয়ে যাওয়ার সময় আমি তাদের উক্তস্থানে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু আমার সাথে মারমূখীহয়ে তর্ক শুরুকরে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আমার প্রতিষ্ঠানে ঢুকে আমাকে আমার প্রতিষ্ঠানে থাকা বিভিন্ন ধরনের লোহার রড, এঙ্গেল দিয়ে বেদম প্রহার করতে থাকে এবং শরীরের বিভিন্নস্থানে আমি আঘাত প্রাপ্ত হই। তারা সংঘবদ্ধ হামলায় আমাকে মারধর করলে আমি মাটিটে লুটিয়ে পরি। পরে ব্যাপক ভাংচুর করে আমার প্রতিষ্ঠানে কাজের অর্ডার নেওয়া গ্রাহকের কাছ থেকে ২৭,০০০/- (সাতাইশ হাজার) টাকা ক্যাশবাক্সে থাকে নিয়ে যায়। এবং বলে যায় বাড়াবাড়ি করলে আমাকে তারা জীবনেরতরে মেরে ফেলবে বলে হুমকীধামকী দিয়ে চলে যায়। পরে আমার ডাক চিক্কারে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এবিষয়ে স্থানীয়রা জানান তারা পরিত্যাক্ত স্থানে দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এবং মাদকসেবীরা আমাদের মেয়েদের ইভটিজিং করে আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদের বিভিন্ন প্রকার অসামাজিক কথাবার্তাবলে হুমকী প্রধান করে। ঘটনা স্থলে মিজানুর রহমানেরর ডাক চিৎক্কারে এগিয়ে না গেলে তাকে মেরে ফেলতো।
এবিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপ- পরিদর্শক ( এস আই) গৌতম সরকার জানান, ঘটনা সত্য তদন্তকালে স্থানী মেম্বার ও সমাজের ব্যাক্তিরা এ ঘটনার মিমাংশার ভার নিয়েছে।