বন্দরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘটনায় মহিলাসহ উভয় পক্ষের ৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। তারা হলেন- মুস্তাছির রহমান স্বজন (২২) আদনান ওরফে পলক (১৮), গাজী (৪৫) ও তার স্ত্রী লিপি আক্তার (৩৬)। স্থাণীয়রা আহতদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুত্ব জখম মুস্তাছির ওরফে স্বজন ও তার ভাই পলককে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাপাতালে প্রেরণ করেছে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় বন্দর থানার নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জনৈক রমজান মিয়ার বাড়ী সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় আহত যুবকের পিতা হাবিবুর রহমান দুলাল ও অপর পক্ষ আহত লিপি বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার র্র্নিদেশ প্রদান করেন।
দুলাল মিয়ার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তার পৈত্রিক জমি মধ্যে বিবাদী বন্দর থানার নবীগঞ্জ নূরবাগ এলাকার মৃত আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে বন্দরে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গাজী ও তার স্ত্রী অপর মাদক ব্যবসায়ী লিপি বেগম দীর্ঘ দিন ধরে অবাধে মাদক ব্যবসা করে আসছে।
এ ঘটনায় দুলাল মিয়া ও তার ভাড়াটিয়া বুলবুলি বেগম উল্লেখিতদের মাদক ব্যবসা বাধা প্রদান করলে উল্লেখিত মাদক ব্যবসায়ী স্বামী/স্ত্রী আমাকে ও আমার ভাড়াটিয়ার সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার জের ধরে সোমবার সকাল ৯টায় বন্দর থানার নবীগঞ্জ ইসলামবাগ এলাকার নসু মিয়ার ছেলে খোকন ভেন্ডার ও শহরের হাজীগঞ্জ এলাকার মৃত আব্দুল হক মিয়ার ছেলে মামুন এবং নবীগঞ্জ বাগবাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল সামাদ মিয়ার ছেলে মনির হোসেনসহ অজ্ঞাত নামা ৭/৮ বন্দরে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী গাজী ও
তার স্ত্রী লিপি বেগমের পক্ষ নিয়ে নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডস্থ জনৈক রমজান মিয়ার বাড়ি সামনে তার ভাড়াকৃত বাড়িতে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে ভাড়াটিয়া বুলবুলি বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে বেদম মারপিট করে।
এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া বুলবুলি বেগম ফোন করে আমাকে জানালে আমি আমার ছেলে মুস্তাছির রহমান স্বজন ও আমার ভাগ্নিা আদনান পলককে ঘটনাস্থলে পাঠালে ওই সময় উল্লেখিত বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলে ও ভাগ্নিাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বেদম ভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ভাগিনার সাথে থাকা নগদ ১০ হাজার
টাকা ও একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় হামলাকারিরা ঘর ও ঘরের আসভাবপত্র ভাংচুর করে আরো ১ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আমার ছেলেকে উদ্ধার করে প্রথমে বন্দর পরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। অপর দিকে আহত লিপি বেগমের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ হাবিবুর রহমান দুলাল ও তার সন্ত্রাসী দুই ছেলে আপন ও রুপনসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন মিলে আমার স্বামী গাজী উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারিরা আমার স্বামী গাজীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি সোটা ও লোহার রড দিয়ে লোপাতারী ভাবে মারধর করে।
লোক মারফতে খবর পেয়ে আমি আমার স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ওই সময় হামলাকারিরা আমাকে বেদম মারধর করে নিলাফুলা জখম করে। গত রোববার রাতের আধারে ভূমিদৎসু হাবিবুর রহমান দুলালগং অবৈধ ভাবে আমার জায়গায় ভিতরে দুইটি একচালা ঘর নির্মান করেছে। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার জায়গা থেকে আমাকে উচ্ছদ করার পাঁয়তারা করে আসছে।