বন্দরের নবীগঞ্জ নোয়াদ্দার এলাকায় মহসিন নামে এক নব্য সন্ত্রাসীর উত্থানে দুশ্চিন্তা এলাকাবাসী।
ঐএলাকাবাসী জানান,চাঁদাবাজি, ব্লাকমেইলিং, জমিদখল ও নারী লিপ্সুতাসহ বহু অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে এই মহসিন। এলাকার আতঙ্ক হয়ে উঠেছে মহসিন বাহিনী ও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হলেও মিলছেনা প্রতিকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকায় আপন শ্যালকের জমি দখল করে মহসিন হয়ে যায় এলাকার নতুন ত্রাস। মাদক ও দেহ ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি বাহিনী গড়ে তুলে মহসিন শুরু করে চাঁদাবাজি, দেহব্যবসা ও বিভিন্ন লোকদের ব্লাকমেইলিং। এর পর শুরু করে তার বড় মেয়ে শান্তাকে দিয়ে বিয়ে ব্যবসা জানাযায় যে, খানপুরের সমাজ সেবক নান্নু সরদারের ছোট ছেলে নোমাইন এর সাথে শরিয়ত মেতাবেক ২০১৭ সালে বিয়ে হয় চিটার মহসিনের বড় মেয়ে শান্তার বেশ কিছু দিন সংসার করলেও ছেলের পরিবার বুঝতে পারেনি যে চিটার মহসিনের মেয়ে পাগল পড়ে তার আচার আচরনে তারা যখন বুঝতে পারল চিটার মহসিন তাদের সাথে বাটপারি করেছে এর মধ্যে তাদের ঘরে জম্ম নেয় এক মেয়ে যার নাম নুয়েলা র্বতমানে মেয়ের বয়স (৪)। সন্তান হওয়ার পর ছেলের বউ শান্তার আসল রুপ দেখতে পায় ছেলের পরিবার এ নিয়ে অনেক দেনদরবার বিচার শালিশও হয়েছে।
প্রায় সময় স্বামীর বাড়ী থেকে গভীর রাতে বের হয়ে যেত পাগল শান্তা তখন ছেলের পরিবার কোটে গিয়ে উকিলের মাধ্যমে এক তরফা তালাক প্রদান করে। এর দু-এক দিন পর গভীর রাতে পুলিশ নিয়ে স্বামীর খানপুরের বাড়ীতে হাজির হয় চিটার মহসিন মাদক ব্যবসায়ী স্ত্রী এবং তার পাগল মেয়ে শান্তা, পুলিশ কিছু বলার আগে তারা স্বামীর পরিবারের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় । তখন পুলিশ রেগে গিয়ে উল্ট শান্তার বাবা-মাকে ধমক দেন এবং সবার সামনে কালকে দুই পরিবারকে নিয়ে থানায় ওসির সামনে বসতে বলেন, তারা পরের দিন থানায় না গিয়ে কোর্টে একটি মিথ্যা মামলা দেন এর মধ্যে কয়েক দিন কেটে যাওয়ার পর দেনদরবার করে মেয়ে শান্তার কাবিনের পাঁচ লক্ষ পঞ্চশ হাজার টাকা কোর্টে গিয়ে উকিলদের সামনে থেকে ছেলের বাবার কাছ থেকে নিয়ে আসেন।এর পর শুরু করে নাতনি নুয়েলাকে নিয়ে ব্যবসা তার জন্য প্রতি মাসে খরচ বাবদ পাঁচ হাজার দেওয়ার কথা থাকলেও তারা পারে না যে প্রতিদিনই ছেলের বাড়ীতে এসে বসে থাকে।
গত রোববার ( ১৩ নভেম্বর) তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী শান্ত স্বামী নোমাইনকে ফোন করে জানান যে, আমাদের অনেক অভাব ৩০ হাজার টাকা আর আমাদের এসিসহ আরো যে মালামাল আছে তা দিয়ে নুয়েলাকে নিয়ে যান আমরা আর পালতে পারছি না। এই কথা শুনে নোমাইন তার বাবাকে বলে যে বাবা আমি গিয়ে নুয়েলাকে নিয়ে আসি তখন তার বাবা বলে তুই একা জাসনি সাথে কাহউকে নিয়ে যা। তখন একটি পিকআপ-ভ্যান ভাড়া করে তাদের এসিসহ মালামাল গাড়ী দিয়ে পাঠিয়ে নোমাইনসহ আরোও তার দুই ভাইকে নিয়ে তাদের বাসার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে রওয়ানা হয়ে যায়।
তিনি আরোও বলেন, তারা সরল মনে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে মহসিনের বাড়ীতে গিয়ে বসে তারাও প্রথম ভাল ব্যবহার করছিল তাদের মনে যে এই ধান্দাবাজি আছে তা ক্ষুনখরে টের পায় নি ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যাওয়া নোমাইনের ২ ভাই, তখন তারা বলে আমাদের মেয়েকে দেন আর আপনাদের চাহিদা মোতাবেক ৩০ হাজার টাকা নেন তখন চিটার বাটপার মহসিন এই কাগজে লেখে দেও টাকা বুজিয়া পাইছি তখন সরল বিশ্ববাসে ৩০ হাজার টাকা মহসিনের বউ এর হাতে দেন টাকা পেয়েই পল্টিবাজি শুরু করে ফেনসিডিল ও গাঁজা সেবনকারী মহসিন ও তার মাদক বিক্রেতা বউ, তখন জামাই বউ বলে এতে তারা কি মেয়ে দিয়ে দেব নান্নু সরদারে সব শেষ করে তারপর দিব কি না দেখবো জান গিয়ে বলেন আমার এক … ছিরতে, আমি যে খাডাস মহসিন এই নবীগঞ্জে সবাই জানে, তার বউ তখন বলে উঠে এই এলাকার কোউরে গননের টাইম নাই আমি কত বার জেল খাটছি সবাই জানে আমার নাম হুনলেই সব ঠান্ডা, গিয়া কয়েন জেলের নান্নুরে আর অর পেলারে চেদ্দাসিকির ভাত খাওয়ামু, আমার পরিবারের কথা এই এলাকার সবাই জানে আমরা কি জিনিস।এর মধ্যে ছেলের পরিবার এলাকায় গিয়ে ভাল ভাবে খোঁজ নিয়ে জানতে পারে এই পরিবারে কুর্কিতী এলাকাবাসী মহসিনকে চিনে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবী হিসেবে। এলাকার কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানাযায়, এমন কোন অপকর্ম নেই যে এই মহসিন করেনি নিজের আত্তয়স্বজনের জমি দখল,মাদক ব্যবসা, দেহ ব্যবসা, অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাট, নারী লিপ্সুতাসহ বহু অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।
তার ব্যপারে অনুসন্ধান করতে গিয়ে আরো যানা যায়, মহসির ও তার বউ মাদক ব্যবসার কারনে অনেক বার জেল পযর্ন্ত খেটেছে। এমন কি তার বউ নিজে একজন মাদকের ডিলার বলে যানা গেছে, কয়েক বার ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার হয়ে জেল খেটে বুকের পাটা অনেক বড় হয়ে গেছে এ জন্য এলাকার কাউকে তোয়াক্কা করে না।সমাজের কেউ তাদের কোন দাওয়াতে আসে না এবং তাদেরকে দাওয়াত দেয় না বলে জানান কারন সারাক্ষন নেশা করে এবং কিশোর গং নিয়ে ভোর থেকে শুরু গভীর রাত পযর্ন্ত ফেনসিডিল,ইয়াবা, গাঁজা ও হেরোইন বিক্রি করে থাকে।এবিষয়ে মহসিনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।