নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি মাদ্রাসা রোড এলাকায় হাজেরা মার্কেটে সোনালী মশার কয়েল ফ্যাক্টরির পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়মনীতি না থাকা সত্তেও কয়েল ফ্যাক্টরিতে ও সোনালী টাওয়ারে তিতাস কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে ফ্যাক্টরির পরিচালনা করে যাচ্ছে হারুন।
সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি বড় বাড়ি সংসগ্নে হারুন এর আলিশান বাড়ি সোনালী টাওয়ার ও সোনালী কয়েল কারখানায় হারুনের অবৈধ কর্মকান্ডে রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনীর নেটওয়ার্ক। গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে হারুনের গৃহপালিত সন্ত্রাসী আবুবক্কর সিদ্দিক আবুলসহ তার বাহিনী সংবাদকর্মীদের উপর মারমুখী অবস্থান নেন এবং সাংবাদিকদের নিয়ে অসভ্য ভাষায় গালমন্দ করে হুমকি প্রদান করে। এসময় আরোও সংবাদকর্মীদের সাথে থাকা এক মহিলা সংবাদকর্মীর উপর চড়াও হয় আবুলসহ তার বাহিনী।
গত মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি বড় বাড়ি নামক এলাকায় সোনালী টাওয়ারে অবৈধ ৩০টি চুলা ও মাদ্রাসা রোড এলাকায় হাজেরা মার্কেটে সোনালী মশার কয়েল ফ্যাক্টরির সংবাদ সংগ্রহ কালে সংবাদকর্মীদের উপর মারমুখী হয়ে উঠেন আবুল।
নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে স্থানীয়রা জানান,২০০৬ সালে কুমিল্লা থেকে সুন্য হাতে লুঙ্গী পরিহিত হারুন অরফে গ্যাস চোর হারুন নামে পরিচিত নারায়ণগঞ্জে আসেন। সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতাদের ছত্রছায়ায় বনে যান বিশাল টাকার মালিক। পরে তিনি একটি সোনালী মশার কয়েল নামে একটি ফ্যাক্টরি দেন তারপর থেকেই আর পিছনে তাকাতে হয়নি এ হারুনের।
স্থানীয়রা আরোও জানান, বিআইএসটি’র অনুমোদনহীন ও পরিবেশবান্ধব না হওয়ায় মরণব্যাধি বিষাক্ত কয়েল কারখানার ধুলায় নষ্ট হচ্ছে আশেপাশের পরিবেশও। তিতাস কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে গভীর সখ্যতায় হারুন সরকারি সম্পদ গ্যাস চুরি করে ব্যবহার করছে সোনালী কয়েল ফ্যাক্টরিসহ তার ১০তলা সোনালী টাওয়ারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ।এরকম ভাবে গ্যাস চুরির ফলে পাচ্ছে না বৈধ গ্যাস লাইন নেওয়া গ্রাহকরা গ্যাস। জমা হচ্ছেনা সরকারি কোষাগারে অর্থ, সরকার হাড়াচ্ছে রাজস্ব। স্থানীয়দের জোরালো দাবি সরকারিভাবে অতি দ্রুত রাস্ট্রিয় সম্পদ রক্ষা করবে।
নাম না প্রকাশের সর্থে হারুনের ১০ম তলা সোনালী টাওয়ারের একাধীক ভাড়াটিয়ারা লাঞ্চিত হওয়া ঐ সাংবাদিকদের জানান, এবাড়িতে ৩০টি অবৈধ গ্যাসের চুলা রয়েছে। আমাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১০৮০ ( এক হাজার আষি) টাকা করে প্রতি ডাবল চুলা বিল হিসেবে আদায় করে থাকেন। কিন্তু আমরা জানতে পারি বাড়ির মালিক হারুন সাহেবের পকেটে এই গ্যাসবিলের টাকা যায়।
সংবাদ সংগ্রহের সময় লাঞ্ছিত হওয়া এক মহিলা সংবাদকর্মী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমারা জানতে পারি সোনালী টাওয়ার ও সোনালী মশার কয়েল কার খানায় অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে ব্যাবসা পরিজালনা করে আসছে। আমরা টিভি ও প্রন্টি মিডিয়া সংবাদকর্মীরা সবাদ সংগ্রহে করতে গেলা গ্যাস চোর নামে পরিচিত হারুনের গৃহপালিত সন্ত্রাসী আবুল প্রকাশ্যে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং অসমীয়া ভাষায় গালমন্দ করে। সোনালী মশার কয়েল ফ্যাক্টরির মালিক হারুন’র গৃহপালিত সন্ত্রাসী ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী ইয়াসিন হাজীর ছোট ভাই আবুবক্কর সিদ্দিক আবুল।
কিনি আরও জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন এলাকায় বেশির ভাগ অপরাধীরা আওয়ামীলীগের নেতা ও নেতার স্বজনদের ছত্রছায়ায় জগতে লিপ্ত রয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদে তথ্য ও সংবাদ সংগ্রহর কালে সংবাদকর্মীদের মধ্যে লাঞ্চিত হয়ে ছিলেন, নিউজ টুয়েন্টি ওয়ান বাংলা টিভির সাংবাদিক চম্পা ভূঁইয়া, শাহাদাৎ,ও রাফিন, জনকথা সাংবাদিক সরোয়ার, অপরাধ দমন সাংবাদিক সরোয়ার মৃধা, ভোরের চেতনা সাংবাদিক ফয়সাল ও মিন্টু সহ আরোও কজন।
এ বিষয় তিতাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে জানাযায়, আমরা তার ফ্যাক্টরিতে একা ধিকবার অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করিয়েছি। এবং তার নামে মামলা দিয়েছি তার পরও সে অবৈধ পথে গ্যাস চুরি বন্ধকরা যাচ্ছেনা।
এবিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সেক্রটারি ইয়াসিন হাজীর ছোট ভাই আবুবক্কর সিদ্দিক আবুল বলেন, আমাকে কাকা বলে সম্মোধন করে এবং এক সাথে রাজনিতী করে। সে আমাদের এলাকার মেয়ে এবং অপেশাদার সাংবাদিক। বহিরাগত অপেশাদার সাংবাদিক দিয়ে এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে এধরণের কর্মকান্ড চালিয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্ঠা করে। তার অভিযোগটি ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যপ্রণিত ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে এধরনের কাজে লিপ্ত রয়েছে।