সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেড সংলগ্ন সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারী জমি দখল করে দোকান-ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে। প্রভাবশালী ঐ নেতার প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জায়গায় নির্মাণ করা এসব দোকান ঘর সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি ও ভাড়া দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রভাবশালীরা একের পর এক সরকারী জমি দখল করে আসলেও প্রশাসনের কর্মকর্তারদের এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই বলে দাবী সাধারণ মানুষের। প্রশাসনের কার্যকরি নজরদারী না থাকার ফলে সরকারী জমিগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, কিছু অসাধু কর্মর্কতাদের সঙ্গে আঁতাত করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এত বছর ধরে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে এই দোকান নির্মাণ ও কেনা-বেচা করছে।
জানা গেছে, চিটাগাংরোড থেকে নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া যাওয়ার পথে সড়কের পূর্ব পাশে আদমজী ইপিজেড এর দেয়াল ঘেষে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি জমি দখল করে ২৫টি দোকান নির্মাণ করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। দখল করা জায়গায় নির্মিত এসব দোকান প্রতিনিয়ত কেনা-বেচা হচ্ছে।
বিগত ১০ বছর ধরে সরকারি জমি দখল করে স্থানীয়রা ব্যবসা করছেন। নিজেদের ইচ্ছামতো ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিচ্ছেন আবার বিক্রি করছেন। তারা দোকানের জামানত বাবদ ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে ২-৩ লাখ করে টাকা নিচ্ছে এবং প্রতি মাসে ৫ হাজার থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা করে ভাড়া আদায় করছে। ভাড়ায় ব্যবসা করে এমন কয়েক জনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের মধ্যে কালাম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, তাঁরা প্রায় ১০ বছর ধরে এই বাজারে ব্যবসা করছেন। তবে দোকানের জায়গা সরকারি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ইপিজেড সংলগ্ন সরকারী জায়গা দখল করে মোট ২৫টি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মোহম্মদ আলী, মতি, ইসমাইল, সেলিম মজুমদার, সেলিম, শাহ জালাল, বাবুল, ইব্রাহীম, শহিদুল্লাহসহ আরো কয়েকজন দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে প্রতিমাসে ভাড়া তুলছে। সরকারী জমি দখল করে তারা ভাড়া তুলে নিজেদের পকেট ভারী করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরব। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা।