টানবাজার সার্বজনীন কালীপূজা কমিটি’র পূজা পুনর্মিলনী-১৪২৯ বাংলা আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ চাষাড়াস্থ ব্লু পেয়ার রেস্টুডেন্টে টানবাজার সার্বজনীন কালীপূজা কমিটি’র আয়োজনে পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
টানবাজার সার্বজনীন কালীপূজা কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিটন সাহা বলেন, আমি আজকে আনন্দিত হয়েছি এই অনুষ্ঠানে এসে। আমার মনে হয় এটা একটা ফ্যামিলি অনুষ্ঠান যেহেতুক আমরা সবাই এক স্থানের বন্ধনে রয়েছি। আমরা যখন পূজা অনুষ্ঠান করি তখন জুনিয়রদের সহ সবাইকে এভাবে আগে আসতে হবে। টানবাজার বঙ্কবিহারী জিউর আখড়া ও হনুমান জিউর মন্দির নিয়ে ইসকন সাথে মামলা চলছে। তবে মন্দির যদি ঠিক না থাকে তাহলে দুর্গাপূজা, কালীপূজা সহ কোন পূজা করতে পারবোনা। তাই সবাইকে মন্দির রক্ষার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরোও বলেন, ইতিমধ্যে আমরা দুইটা মামলার রায় পেয়েছি। এক মামলার আপিল চলছে। আমরা যদি সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসি তাহলে এখানে কালীপূজা, দূর্গা পুজা সহ সবধরনের পূজা হবে। মূলত টানবাজার সুতা ব্যবসায়ী ও রং ব্যবসায়ীদের সহযোগীতায় আমরা পূজার আয়োজন করে থাকি। আমরা চিরকাল থাকবো না তাই আমাদের পাশাপাশি ছোটদের আগাইয় আসতে হবে এবং দায়িত্ব নিতে হবে।
টানবাজার সার্বজনীন কালীপূজা কমিটি’র কোষাধ্যক্ষ শুভ চন্দ্র দাস ও সিমি পোদ্দার’র সঞ্চলনায় পূজা পুনর্মিলনী-১৪২৯ বাংলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্টস এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ডাইস কেমিক্যাল এসোশিয়েশন ও টানবাজার দূর্গা পুজা কমিটির সভাপতি লিটন সাহা, রং ব্যবসায়ী উক্তম সাহা, চিত্রাংকন বিচারক অমিতাব চক্রবতি, চিত্রাংকন বিচারক নাসির উদ্দিন, টানবাজার সার্বজনীন কালীপূজা কমিটি’র উপদেষ্টা সুব্রত কুমার সাহা ও তাপস রুদ্র প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আয়োজকরা হলেন টানবাজার সার্বজনীন কালীপূজা কমিটির সভাপতি রঘুনাথ সাহা, সাধারণ সম্পাদক শুভ্র সাহা, সহ-সভাপতি প্রতীক ঘোষাল পল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সমরজিত চক্রবর্তী (মিতু) সহ কমিটির নেতৃবৃন্দগণ।