ফতুল্লার হাজিগঞ্জে একটি নির্মানাধীন ড্রেনের ভিত্তি ফলকে প্রকল্পের নামে ভুলতথ্য দিয়ে দেয়ালে লাগানোর পর দৃষ্টিগোচর হয় এলাকাবাসীর।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে- হাজীগঞ্জ গোলনাহার ভিলা হইতে শামীম সাহেবের বাড়ি পর্যন্ত পাকা ড্রেন নির্মাণ। এ নিয়ে এলাকায় সৃষ্টি হয় নানা বিতর্ক। এলাকাবাসীর অভিযাগ নির্মানাধীন এ ড্রেনের শেষ পর্যন্ত শামীম সাহেব নামে কারো কোনো বাড়ি নেই। তবে মহল্লার ভিতরে শামীম নামে এক ব্যাক্তি তার নানা বাড়িতে থাকে। মূলত একটি পক্ষ অনৈতিক সুবিধা গ্রহন করে ওই লোকের নাম প্রচারে মিথ্যা দিয়ে এ নামফলক বানিয়ে দেয়া লাগিয়েছেন।
জানাগেছে, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড হাজিগঞ্জ এলাকায় ঈদগা সড়কে (এলজিএসপি-৩ প্রকল্প নং- ১১/২২-২৩ইং) ৪৬ মিটার ড্রেন নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে মেসার্স মেহেক এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
রবিবার (২০ নভেম্বর)ড্রেন নির্মাণের নামফলক উন্মোচন করতে গেলে এলাকাবাসীর নজরে পড়ে বিষয়টি। নামফলকে উল্লেখ করা হয়েছে- হাজীগঞ্জ গোলনাহার ভিলা হইতে শামীম সাহেবের বাড়ি পর্যন্ত পাকা ড্রেন নির্মাণ কাজ। মোট- ৪৬ মিটার। ভিত্তি ফলকে শামীম সাহেবের উল্লেখ্য নামটি দেখে অত্র এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবং তারা আক্ষেপ করে বলে শামীম সাহেবের নামে যে নামটি ব্যবহার করা
হয়েছে। আসলে এখানে তার কোন নিজস্ব সম্পত্তি নেই। বরং নির্মানাদিন ড্রেনের রাস্তার পাশেও তার বাড়ি নেই। এছাড়া সীমানা ঘেষা বা নির্মনাধীন ড্রেনের শেষ সীমানা এলাকায় অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি রয়েছে। এখানে তাদের নামও ব্যবহার করা যেতে পারত। কিন্তু তা ব্যবহার না করে। তার নাম ব্যবহার করায় এটা নিয়ে এখন
এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অপর একটি সূত্র জানায়, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নাজমুল হোসেন সবুজ এর সাথে রয়েছে শামীমের সুগভীর সম্পর্ক যা দোহরম মহরম। সে সুবাধে শামীম এলাকায় নিজের নাম জাহির, প্রতিষ্ঠা করার জন্য এবং প্রভাবশালী হিসেবে নিজেকে উঠিয়ে ধরা এটাই প্রধান লক্ষ্য। মেম্বার সবুজকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে এই ভিত্তি ফলকে নিজের নাম বসিয়ে নিয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
নাম ফলকের এই বিষয়টিকে ঘিরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান স্বপনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন। এটি একটি প্রকল্পের কাজ। এখানে রাস্তার পরিমাপ অনুযায়ী কাজ করার জন্য শুরু এবং শেষ অংশের সীমানা নির্ধারণের জন্য আমরা নাম ব্যবহার করে থাকি। এখানে যে নামটি শামীম ব্যবহার করা হয়েছে তা স্থানীয় মেম্বার নাজমুল হোসেন সবুজ স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারবে।
বিষয়টি জানতে, মেম্বার নাজমুলের মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ হয়নি।