নারায়ণগঞ্জ বন্দরে অর্থলোভী স্বামী মামুন মিয়া মরিয়ম আক্তারকে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুনে পুড়িয়েছে বলে স্বজনদের অভিযোগ স্বামী-স্ত্রী এক ঘরে থাকলেও অদৃশ্য শক্তির কারণে হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
গত সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বন্দর রাজবাড়ি পুকুরপাড় এলাকায় আনোয়ার হোসেনেরর ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে ।
গত (২২ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা হাসপাতালে আগুনে দগ্ধ
মরিয়ম মারাযান। জন্মসনদ অনুযায়ী মৃত্যুকালে মরিয়মের বয়স ছিল ১৭ বছর।
নিহত গৃহবধূ মরিয়ম আক্তার বন্দর কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের কল্যান্দী এলাকার শুক্কুর আলীর ছেলে মামুন মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের মামী আজমেরী জানান, ঘটনার দিন নিহত মরিয়মের মা সৌদি আরব প্রবাসী আমার ননাশকে বন্দর থানা পুলিশ ফোন করে জানান। ননাশ আমাকে ১১: ৪০ মিনিটে ইমুতে ফোন করে জানান মরিয়মের বাড়িতে আগুন লাগছে তরা সেখানে তারা তারি যা বলে কান্না করছে। আমি আমাদের লোক জন নিয়ে তাৎক্ষণিক সেখানে পৌঁছাই। এসময় এলাকা বাসীর জানান মরিয়মকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে সময় স্থানীয়রা আমাদের বলেন পড়ার সময় তারা এখানে জগড়া জাটি করে এবং মেয়েটাকে মারধর করে।এছাড়া ঘরে স্বামী থাকা অবস্থায় কি করে তার স্ত্রীর গায়ে আগুন লাগলো?।
মামী আরোও বলেন, এসময় দেরি না করে আমরা ঢাকা চলে যাই। মরিয়মের স্বামী মামুন মিয়াকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, মোবাইল এনে দেওয়ার জন্য আমি মরিয়মকে মারধর করেছি। পরে
তার প্রবাসী মা’য়ের কাছে আমার জন্য মোবাইল ফোন চেয়ে কল করে অনেক বিষয়ে কথা বলে। শাশ্বরী আগামী কাল টাকা পাঠানোর কথা বলেছে। কিছুক্ষন তার শরিরে আগুন লেগে যায়। কিন্তু কি করে আগুন লাগছে সেটা তিনি এড়িয়ে যান।
মামী আজমেরী আরোও জানান, আমাদের ভাগনী বক্তাবলী ইউনিয়ন গঙ্গানগর এলাকার মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী। মরিয়মের মা সৌদি আরবে পাড়ি জমানোর কারণে নানার কাছে থাকে। একসময় মরিয়ম শহরের নয়ামাটি এলাকায় একটি হোসেয়ারীতে কাজ করতে গিয়ে মামুন মিয়ার সাথে পরিচয়ের হলে তার বড় ভাই সহ কয়েক জন লোক নিয়ে আমাদের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে। এ সময় রাজি না হওয়া মরিয়মকে মরিয়মের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈয়রি করে পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতে মরিয়মের উপর যৌতুকের জন্য মারধর শুরু করেন পাষণ্ড স্বামী মামুন মিয়া।মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আমার ননাশ মেয়ের স্বামীর আবদার পূরণ করে আসছে।
মামী আরোও জানান, ঐ এলাকার স্থানীয়রা বলেছেন স্বামী ঘরের বিতরে ছিল। মরিয়মের ডাক চিৎক্কারে আসে পাশে লোক জন চলে আসলো কিন্তু স্বামী একসাথে থাকা অবস্থায় শরিরে আগুন লাগার কোন প্রশ্নই উঠেনা। ভাগনী তার মায়ে সাথে কথা বলার পর আমার ভাগনীকে মাধরে অজ্ঞান হয়ে গেলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী। এঘটনায় বন্দর থানা পুলিশ আমাদের জানিয়েছেন আত্মহত্যা করেছে মরিয়ম। আমরা অভিযোগ করতে গেলে এস আই নাহিদ মামুন সহ অপরেটাররা খুব দুর্ব্যবহার করে। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে বন্দর থানা পুলিশের কাছ থেকে আমরা সুবিচার পাব না।
মরিয়মের মা পারভীনের সাথে ইমুতে কথা হলে তিনি জানান, ঐদিন আমার মেয়ে কে অনেক মারধর করেছে। এবং অর্থলোভী মেয়ের স্বামী মামুন প্রয়া সময় টাকার জন্য মেয়ের সাথে জগড়া করে। আমার মেয়ে সাত মাস হলো পালিয়ে বিয়ে করেছে। মামুন প্রতি রাতে দেরিতে বাড়ি ফিরে সে কলা বলাতে মেয়েকে মারধর করেছে এবং টার্চ মোবাই নাদিলে যানে মেরে ফেলবে। আমাকে পুলিশ পরিচয়ে ফোন দিসে। তখন আমার ছোট ভাইয়ের বৌকে বিষয়টা অবগত করি। এটা আত্মহত্যা নয় আমার মেয়েকে আগুন দিয়ে মারা হইছে।
এবিষয়ে মেয়ের বাবা কাঞ্চন বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন যার নং- ২৯,২২/১১/২২।
নিহত মরিয়মের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রথমে রিসিভ করে ব্যস্ততা দেখিয়ে কলটি কেটে দিয়ে ফোন কল আর রিসিভ করেন নাই বন্দর থানা পুলিশ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাহিদ মাসুম।
বন্দর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আবু বক্কর সিদ্দিককে একাধিকবার তার ব্যবহৃত সরকারি নাম্বারে কল করিলে তিনি রিসিভ করেন নাই।
মরিয়ম স্বজনদের দাবী পুলিশ এটাকে আত্মহত্যা প্ররোচিত বলে ভিযোগ নিয়েছে। কিন্তু একটা হত্যাকাণ্ড। পুলিশ সুষ্ঠ তদন্ত না করে এধরনে মন্তব্যে আমরা বিভ্রহত।