গণতন্ত্র ভোটাভুটি না হলেও দিনভর নাটকীয়তার মধ্যে সম্মেলন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে বিতর্কের মুখে স্থগিত হলো বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে পতাকা উত্তোলনের পর অতিথিদের বক্তব্যের পর্ব শেষ হয়। তারপর বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তি কমিটির জন্য ভোট গ্রহণের এক পর্যায় সভাপতি পদপ্রার্থী আবুল হোসেন প্রধানের সমর্থক সিদ্দিক ও শফিক মাহমুদের সমর্থক দিলনের সাথে বাকবিতক্তা হয়।
এসময় শওকত চেয়ারম্যান উত্তেজিত হয়ে একটি পক্ষ দিলনকে সম্মেলন কেন্দ্র থেকে বের করে দিতে চাইলে বিতর্কের সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরোও উত্তপ্ত হয়। একটি পক্ষকে হুমকি দেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। এসময় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল ক্ষোভে সম্মেলন থেকে বের হয়ে আসেন। এম সাইফ উল্লাহ বাদল সম্মেলন ত্যাগ করার পর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভিপি বাদল সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেন।
এর আগে সম্মেলনে সভাপতি পদের জন্য দুইজন আবুল হোসেন প্রধান ও শফিক মাহমুদের প্রস্তাব করা হয়। এবং সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য তিনজন আনোয়ার হোসেন, বাবুল মিয়া ও কামরুল ইসলামের নাম প্রস্তাব করা হয়।
উল্লেখ্য দীর্ঘ ২০ বছর পর অনেক নাটকীয়তার পর বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলনের ঘোষণা করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ। বিগত ২০০৩ সালে সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নটির আওয়ামী লীগ নেতারা বেশ উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে সম্মেলনে উৎসব মুখর পরিবেশে সম্মেলন যোগ দেন। বিকাল ৩টায় শুরু হওয়া সম্মেলনে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। ফতুল্লা থানার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও জেলার ভিবিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে যোগদান করেন নেতা কর্র্মীরা।
ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত হোসেন জানান, একটি পক্ষের উচ্ছৃঙ্খলতায় এবং দিনের সম্মেলন রাত হয়ে যাওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে। তা না হলে হয়তো এখানে বড় ধরণের অঘটন ঘটতে পারতো। আমরা অনেক চিন্তা ভাবনা করে সম্মেলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করবো।