নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দেড় যুগ পর সম্মলন শুরু হয়েও শেষ হতে পারেনি।
সম্মেলনের প্রথম পর্ব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হলেও ভোট গ্রহণের সময় শুরু হয় হট্টগোল। আর তাতেই পন্ড হয়ে যায় দীর্ঘ প্রতীক্ষার এ সম্মেলন। এতে করে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে।
সম্মেলনে হট্টগোল ও মারামারির জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সভাপতি প্রার্থী শফি মাহামুদ, মহিউদ্দিন মেম্বার ও সন্ত্রাসী দিলুন কে দায়ি করছেন।
সূত্রমতে, গত ২৬ শে নভেম্বর বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ দেড় যুগ পরে সম্মেলন হওয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মী উজ্জীবিত হয়ে পড়ে।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ওই দিন দুপুর থেকে বক্তবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রার্থী শফিক মাহমুদ ও ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার মহিউদ্দিন প্রধান স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের নিয়ে সম্মেলন স্থলে হাজির হয়।
এ সময় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী দিলুনকে তাদের সাথে দেখা যায়। বিএনপি সমর্থক সন্ত্রাসীদের ডেলিগেটারের কার্ড ঝুলিয়ে সম্মেলন স্থলে নিয়ে আসেন শফি মাহমুদ। ভোট গ্রহণের সময় সব কিছুই শান্ত ছিল। কিন্তু নিজের পরাজয় নিশ্চিত জেনে শফিক মাহমুদ, তার সমর্থক মহিউদ্দিন মেম্বার, সন্ত্রাসী দিলুন ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা উত্তেজিত হয়ে হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক, থানা আ’লীগের সভাপতি এম সাইফ উল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলীসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতারা সম্মেলন স্থল ত্যাগ করেন। এ বিষয়ে স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্মীরা জানান, শফিক মাহমুদ পদের জন্য লালায়িত হয়ে উঠেছেন। সুন্দর একটি সম্মেলন তার জন্য নষ্ট হয়েছে। হতাশ হতে হয়েছে সবাইকে। তারমতো নতোকে শীর্ষ পদে আসীন করলে দলের ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না।