স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের আওতায় জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(৬ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাইলফলক সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃপক্ষ বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান।
উদ্বোধনি অনুষ্ঠানস্থলে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃপক্ষ বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন ও সুমিটমো কর্পোরেশনের প্রেসিডেন্ট মাসাইয়াকি হিওদো। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজসহ বেজা ও জাপানের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা।
বেজা কতৃপক্ষ জানিয়েছে, আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখি এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে এক হাজার একর জমিতে তৈরি করা হয়েছে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলটি। এখানে এক সময় ছিল বিস্তীর্ণ জলাশয়। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃপক্ষ বেজা ও জাপানের সুমিতমো কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি স্থাপনের পর থেকে ভূমি উন্নয়ন ও রক্ষুাবেক্ষণের কাজ করছে জাপানের সুমিতমো কর্পোরেশন নামের প্রতিষ্ঠান। ইকোনোমিক জোনটিতে বর্তমানে বিশাল এলাকা জুড়ে চলছে চলছে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ। প্রকল্প এলাকায় রাস্তা-ঘাট নির্মানের পাশাপাশি গ্যাস, বিদ্যুত ও টেলিযোগাযোগ সংযোগ স্থাপনসহ অন্যান্য পরিসেবা উন্নয়নের কাজও চলমান রয়েছে।
এখানে বিনিয়োগ করতে জাপানের টয়োটা, মিটসুবিসি, মুমিতমো, তাওয়াকি, সুজোক লিমিটেডের মতো চল্লিশটি কোম্পানিসহ অন্যান্য দেশের আরও দশটি নামিদামি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সম্পূর্ণ জাপানি প্রযুক্তিতে পরিবাশবান্ধব অটোমোবাইলস, এ্যাসেম্বলি, মোটর সাইকেল, সেল ফোন, হ্যান্ড সেট সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস ও গার্মেন্টস কারখানা স্থাপন করা হবে। দেশি বিদেশি খাতে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃপক্ষ বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন জানান, জাপানসহ অন্যান্য দেশগুলোর বিনিয়োগ কারিদের সাথে আলোচনা চলছে। তিনি আশা করছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথম ধাপের ও পরের বছর দ্বিতীয় ধাপের উৎপাদন শুরু করবে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল। ইকোনোমিক জোনটি পুরোপুরিভাবে চালু হলে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে লক্ষাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি কাজের সুযোগ পাবেন স্থানীয়রাও।