বন্দরে ২৩ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের কার্যালয় ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরন মামলায় বন্দর থানা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন (৩৩)সহ তিন বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বন্দর থানার আমিন আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এদরকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার মামলা নং- ২৬(১১)২২।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো যুবদল নেতা হুমায়ন বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার নিজাম মিয়ার ছেলে অপর গ্রেপ্তারকৃত কাজী রোকন দেওয়ানবাগ এলাকার কাজী কলিমুল্লাহ মিয়ার ছেলে ও চৌরাপাড়া এলাকার রফিজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে বিএনপি কর্মী আশরাফুল (১৮)। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামীলীগ অফিসে ককটেল বিস্ফোরন ও ভাংচুর মামলায় তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপি নেতা আলহাজ¦ আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে বন্দর থানা বিএনপি নেতা নূর মোহাম্মদ পনেছ, আলহাজ¦ হান্নান সরকার, হাবিবুর রহমান দুলাল ও নাজমুল হক রানাসহ ২৪ জন এজাহারভূক্ত ও অজ্ঞাত নামা ২৫/৩০ জন বিএনপি নেতাকর্মী একজোট হয়ে ধারালো ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বন্দরে ২৩নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে আসভাবপত্র ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দেড় লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে। ওই সময় হামলাকারি ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল ও কাউছারকে বেদম ভাবে পিটিয়ে কার্যালয়ে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ এ পর্যন্ত বন্দরে ১৪ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।