ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় এবং সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা এলাকায় পুলিশের দুটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
বুধবার (৭ নভেম্বর) সকাল থেকে চেকপোস্ট দুটিতে বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশি করছে পুলিশ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলাচলরত কোনো ব্যক্তির আচরণ কিংবা গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলেই তাকে তল্লাশি করছে পুলিশ। এছাড়া প্রাইভেটকার, সিএনজি, রিকশাসহ দূরপাল্লার বাসগুলোকে থামিয়ে ভালো করে তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে তল্লাশি করে সকাল থেকে এখনো পর্যন্ত কিছু পায় নি পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি একটি গ্রæপ মহাসড়কে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে। সেজন্য আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনগুলো তল্লাশি করছি। প্রয়োজনের ভিত্তিতে মহাসড়কে চেকপোস্ট বাড়ানো হবে বলে জানান ওসি মশিউর।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম জানান, আমাদের পক্ষ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা এলাকার ঢাকামুখী লেনে একটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কোনো যানবাহনে অবৈধ মালামাল থাকতে পারে কিংবা অস্ত্র থাকতে পারে তাই সকাল থেকে আমাদের তল্লাশি চলছে। তবে এখনো পর্যন্ত আমরা কিছু পাই নি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, চেকপোস্ট বসানো আজ তো নতুন না, আমরা মাঝেমধ্যেই মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে থাকি। স¤প্রতি আদালত চত্বর থেকে কিছু জঙ্গি পালিয়ে গিয়েছে।
পাশাপাশি এইমাসে বিজয় দিবস, থার্টি ফার্স্ট নাইটসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে। সাধারণত যেকোনো ইভেন্ট থাকলেই আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করার জন্য চেকপোস্ট বসিয়ে থাকি।
সমাবেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়ার জন্য কি এই চেকপোস্ট বসানো হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিএনপির কোনো প্রোগ্রামে বাঁধা দেই নি। কেউ যদি নাশকতা করার পরিকল্পনা করে তাহলে তো সে পুলিশের তল্লাশি ভয় পাবেই।
আমরা তো নির্দিষ্ট করে কোনো গাড়ি থেকে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছি কিংবা গাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছি এমন তো না। এটা আমাদের রুটিনওয়ার্ক।