দেবে গেছে ভ‚লতা-বিশনন্দী আঞ্চলিক মহাসড়কের আড়াইহাজার উপজেলার রামচন্দ্রদী স্টিল ব্রিজের একাংশ। এতে উপজেলার সঙ্গে ব্রাঞ্ছারামপুরসহ পূর্বাঞ্চলের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মহাসড়কের দুপাশে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের।
দ্রæত মেরামত না করলে যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটতে পারে। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন তৎপরতা না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে অতিরিক্ত বালুবাহী ড্রাম ট্রাক সেতু পার হওয়ার সময় অতিরিক্ত ওজনের চাপে দুর্বল এই সেতুর চারটি পাটাতন দেবে যায়। পাটাতন দেবে যাওয়ার ফলে থেকে সেতু দিয়ে বাস, মিনিবাস লেগুনাসহ চার চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেতুর দুইপাশে আটকে আছে, বাস, মিনিবাস ট্রাক লেগুনা সিএনজি অটোরিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) নারায়ণগঞ্জ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রামচন্দ্রদী বাজারের সাথে কড়ইতলা এলাকায় ৭০ মিটার দীর্ঘ অপর বেইলি সেতুর অবস্থান প্রায় ৪০ বছরের পুরনো। এই সেতুর প্রশস্ততা ১২ ফুট। বিকল্প রাস্তা তৈরি না করে এ সেতুর ডানপাশে নতুন ব্রীজ নির্মাণ কাজ চলছে। এতে ঝুঁকি নিয়েই স্টীল ব্রীজের উপর দিয়ে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা ও বাহ্মণবাড়িয়াসহ আশপাশের জেলার গড়ে ৫ হাজার গাড়ি প্রতিদিন চলাচল করে।
স্থানীয়রা জানায়, ব্রাঞ্ছারামপুর, নবীনগরসহ পূর্বাঞ্চলের মানুষজন আড়াইহাজার হয়ে এই আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা যেতে সময় প্রায় এক ঘণ্টার চেয়েও কম লাগে। এ কারণে অনেকেই এই আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করায় ব্রীজের উপর চাপ পড়ে।
বর্তমানে বেইলী ব্রীজের চারটি পাটাতন দেবে গেছে। নাটবল্টু প্রায়ই খুলে যাচ্ছে। দ্রæত সংস্কার করা নাহলে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সওজএর প্রকৌশলীরা ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষন করেনা।
নারায়ণগঞ্জ সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস জানান, আজ রাতেই লোক পাঠাব। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্রিজটি সংস্কার করে দেয়া হবে।