বন্দরে এক লম্পট তিন কিশোরীকে পানি ও টাকা দেওয়ার কথা বলে বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত লম্পট আলমগির@ আলম (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার কিশোরীদের মা বাদী হয়ে বন্দর থানার পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছেন মামলা নং ২২(১২)২২, ২৩(১২)২২, ২৪(১২)২২।
৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর আড়াইটা, ১২ ডিসেম্বর (সোমবার) দুপুর দেড়টা, ১২ ডিসেম্বর (সোমবার) বেলা ১১টা ৫ মিনিটে রুপালী আবাসিক এলাকার ৪ নং গলির মাহবুবা চায়নার বাড়িতে এ তিনটি ধর্ষণের এ ঘটনাটি ঘটে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন্দর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক। মামলার সূত্রে জানা যায়, ৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুর আড়াইটায় কিশোরী (১০) কে লম্পট তাহার বাড়াবাড়ি থেকে পানি আনতে বলেন এবং কিশোরী তার কথা মত পানি আনতে গেলে লম্পট তার মুখে চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং কারো কাছে এবিষয়ে বললে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
১২ ডিসেম্বর (সোমবার) বেলা সাড়ে ১১টা টার সময় কিশোরী (১১) তার বান্ধবীর সাথে লম্পটের বাসায় গেলে লম্পট তার মুখে চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং একই দিন দুপুর দেড়টায় কিশোরী (১১)কে লম্পট মজা খাওয়ার জন্য টাকা দেওয়ার কথা বলে বাসায় নিয়ে যায় এবং মুখে চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং কারো কাছে এবিষয়ে বললে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়।
বন্দর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় তিনটি মামলা নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিশোরীদের ডাক্তারী পরীক্ষার পর জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।