শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শ্রমিক সমাবেশ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার ১৬ ই ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এ শ্রমিক সমাবেশ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রমিক সমাবেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্রমিক নেতা কমরেড জাহাঙ্গীর আলম গোলক এবং সাধারণ সম্পাদক জেসমিন আক্তার। শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি এস এম আব্দুস সবুর এর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ অনলাইন প্রেস ক্লাবের যুগ্ম আহবায়ক আল মামুন খাঁন, গণপরিবহন নেতা শেখ সবুজ মিয়া, শ্রমিক নেতা শাহনাজ আলম, শামীম আহমেদ, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ থেকে একান্ন বছর পূর্বে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা । সুকৌশলে গর্জুয়া মালিক শ্রেণী তা ছিনিয়ে নিয়েছে। শ্রমিক শ্রেণীকে শক্তি পরীক্ষায় আবারও বিজয় অর্জন করেন অধিকারের দাবি আদায় করে নিতে হবে ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমে । শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে চায়। শ্রমিকের রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চায়, সেখানে শ্রমিকরা কাজ অন্য বস্ত্র ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা পাবে। কোন শ্রমিক শোষণ থাকবে না, সকল শ্রমিককে শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের ছয় দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের ৬ দফা দাবি নিন্মরূপ- ১. সকল শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
২. শ্রমিকের সন্তানদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৩. শ্রমিকদের আবাসন সংকট নিরসন সহ শ্রমিকদের ৫ সদস্যের পরিবারের জন্য ন্যায় সঙ্গত নূন্যতম মজুরি ২৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
৪. শ্রমিক অঞ্চলে শ্রমিকদের জন্য শ্রমিক হাসপাতাল নির্মাণ করতে হবে।
৫. ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে বেতন দেওয়া, ৮ ঘন্টা কাজ শেষে ওভারটাইম দেওয়া, শ্রমিক ছাঁটাই,নির্যাতন বন্ধ ও সংগঠন করার অধিকারসহ শ্রমিক অঞ্চলে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ রোধে পুলিশি টহল, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ পুলিশ বক্স নির্মাণ করতে হবে। ও
৬. বাংলাদেশ শ্রম আইনের শ্রমিক বিরোধী কালো আইন ও বেপজা আইন সমূহ বাতিল করে আই.এল.ও কনভেনশন অনুযায়ী শ্রমিক কল্যাণমুখী গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন করতে হবে।