নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানাধীন কাশিপুর হাজ্বী পাড়া মারকাযুল উলূম আলইসলামিয় মাদ্রাসা থাকে দুই শিক্ষার্থীর নিখোঁজ। মাদ্রাসার শিক্ষক মহিবুর রহমান (সোহেল মুন্সির) নির্শেদে মাদ্রাসার ময়লা ফেলাতে গিয়ে নিখোঁজ হলেন জুবায়ের হোসেন (১২) ও নাঈম (১২) নামে দুই শিক্ষার্থী।
গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সেড়ে ৬ টায় মাদ্রাসার ময়লা ফেলাতে গিয়ে দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজ জোবায়ের বাবা সামসুজ্জামান দেওয়ান বাড়ি রনি গার্মেন্টসের শ্রমিক বলে জানা যায়।
নিখোঁজ জুবায়ের হোসেন মা শাহানাজ বেমগ জানান, মাদ্রাসার সোহেল মুন্সি নামে এক শিক্ষক আমাকে সকাল সাড়ে ৭ টায় ফোন করে বলে আপনার ছেলে ময়লা ফালাইতে গিয়ে মাদ্রাসার ভিতরে আর আসে নাই। আপনারা দেখেন আপনাদের ঐ দিকে গেছে কিনা। পরে আমরা এলাকার আশে-পাশে ও আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোজাখোজি পর না পেয়ে পরের দিন কাশীপুর হাজ্বী পাড়া মারকাযুল উলূম আলইসলামিয় মাদ্রাসায় বিষয়টি জানার চেষ্ঠা করি।
তিনি আরোও বলেন, আমার ছেলেকে মাদ্রাসার ময়লা ফেলতেতো পাঠাই নাই! বলে শাহানাজ বেগম আরোও জানান, ১৫ ডিসেম্বর আমরা হাজ্বী পাড়া মারকাযুল উলূম আলইসলামিয় মাদ্রাসায় আমার ছেলের খোঁজে খবর নিতে গেলে আমাদের মাদ্রাসায় বিতরে প্রবেশের বাধা দেয়। এবং শিক্ষক মহিবুর রহমান আমাদের বলে আপনার ছেলেকে কি মাইরা ফেলাইছি। তারা ফজর নামাজের পার আমল করেছে পরে তাদেরকে ময়লা ফেলতে পাঠাইছি তারা মাদ্রাসায় ফিরে আসে নাই। মাদ্রাসা থেকে একেক সময় একেক রকমের কথা বলছে এখন। পরে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারণ ডায়রী করি। যার নং ১১৮৩- ১৫/১২/২২।
নিখোঁজ জোবায়ের খালা হাসনা বেগম জানান, তদন্তে না আসায় চারদিন অতিবাহিত হলে ফতুল্লা থানার পুলিশের এস আই আবু হানিফ স্যারকে এক সাংবাদিক তার সাথে যোগাযোগ করলে আমাদের সাথে খুব খাড়াপ ব্যবহার করে বলে থানায় আসবেন কেন! দাওয়াত খাইতে! থার্ড পারর্সন মানুষ দিয়ে ফোন দেওয়ান বলে অশুভ আচারন করেন পুলিশের কর্মকর্তা। এর পরে গত ২০ ডিসেম্বর আমরা র্যাব -১১ কম্পানি কমান্ডো কালীর বাজার কার্যালয়ে একটি নিখোঁজ অভিযোগ করি।
ময়লা ফেলানোর কথা অস্বীকার করে ৪র্থতলা হেফজ্ব খানার দ্বায়ীত্বে থাকা শিক্ষক মহিবুর রহমান জানান, তাদের আমি ময়লা ফেলাতে পাঠাই নাই।
জোবায়ের ও নাঈমের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাজ্বী পাড়া মারকাযুল উলূম আলইসলামিয় মাদ্রাসার সহকারী ভাইস পিন্সিপাল মুফতি আব্দুল আহাদ জানান, গেইটে দায়িত্ব থাকা ব্যাক্তি তাদের তারাইয়া দিসে।পরে কি হয়েছে আমাদের অবগত নাই।
নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীদের এখনও আমরা খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখছি দোয়া করি তাদের যেন দ্রুত্ব খুঁজে পাওয়া যায়।
নিখোঁজের ৮ দিন অতিবাহিত হওয়ায়, অসহায় ভুক্তভোগী পরিবারে সাথে দুর্ব্যবহারের বিষয়ে অস্বীকার করেন, দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ফতুল্লা মডেল থানার এস আই আবু হানিফ বলেন, একজনের পক্ষে থেকে অভিযোগ পাইছি। তদন্তের আগে কিছু বলা যাবে না। বাদী পক্ষের লোকদের সাথে এমন কোন কিছু বলি নাই আমি।
তার বিরুদ্বে যাতে কোন কিছু না লিখে তাই ধামাচাপা দিতে এই প্রতিবেদকে এস আই আবু হানিফ এক সাংবাদিককে ব্যবহার করে।
এস আই আবু হানিফ এর দুর্ব্যবহার ও নিখোঁজের বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিজাউল হক দিপু মুঠোফোন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি জানিনা পরে মোবাইল লাইনটি কেটে দেন।
নিখোঁজ জুবায়ের’র সন্ধা প্রার্থীদের যোগাযোগ করার অনুরোধ করেছে পরিবার মোবাইল নং ০১৯৯০২২৭৬৫২।