বৃহস্পিবার (২২ডিসেম্বর)বেলা ৩ টায় গোগনগর ১নং ওয়ার্ডে উত্তর মসিনাবন্দ এলাকায় পাইপ ভেঙ্গে ফেলাকে কেন্দ্র করে জায়েদা বেগমকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে সদর থানায় মামলার প্রস্ততি নিয়েছে নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় আসামীদের ভয়ে ঐ এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।
মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন মৃত কফলুদ্দিন (কপ্পা) মিয়ার ছেলে শেকুল (৬০), স্ত্রী জাহানারা (সুফিয়া) খাতুন (৫২) ,ছেলে রানা(২৫) মেয়ে বৈশাখী (২৬)।
নিহতের স্বজন শিল্পী জানান, গত দুই দিন আগে ফুপুর পাশের বাড়ি ওয়ালা শেকুল মিয়া একটি আম গাছ কাটেন। এর ফলে আমার ফুপুর ভবনের পানির পাইপ ভেঙ্গে ফেললে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে গাছ কাটা শেষে তারা পাইপ এনে মেরামতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা চলে যায়। ২দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও তা পুনরায় জায়েদা বেগম জিজ্ঞাস করতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে সুফিয়া খাতুন। এর পরে সুফিয়ার স্বামী শেকুল, ছেলে রানা ও মেয়ে বৈশাখী ঘর থেকে বের হয়ে স্বামী কাইয়ুম মন্ডল ও স্ত্রী জায়েদা বেগমকে এলো পাথালি মারধর করে এবং তাদের কাছে থাকা কাচ ভাঙা দিয়ে ডিল মারতে থাকে। সুফিয়ার স্বামী ও ছেলে রানা আমার ফুপুকে কিল ঘুষি মারার পর বাঁশ ও লাঠিসোটা দিয়ে এলো পাথারি মাথায় মারতে থাকে।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক এ ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী ১২ বছরের শিশু জানান, আমি এখানে খেলা করছিলাম এসময় দেখি যে মারা গেছে তার সাথে অনেক জগড়া পরে যারা মারছে তার জামাই, ছেলে, মেয়ে এরা ৪জন মিলে জায়েদা বেগমকে এলোপাথালী ভাবে মারছে। এবং কাচ ভাঙা দিয়েও ডিল দিসে।
নিহতের স্বামী ও গুরুতর আহত কাইয়ুম মন্ডল জানান, দুই দিন আগে পাইপ ভেঙে ফেলেছে। আমার অসুস্থ স্ত্রী জিজ্ঞাসা করতে গেলে তারা তাকে মারধর করেন এবং স্ত্রীকে বাচাতে গিয়ে আমি নিজেও এঘটনায় আহত হই। এর আগে তারা আমার বাড়ি থেকে স্বর্ণ অলঙ্কার চুরি করলে সেগুলা মেম্বর বাপ্পী উদ্ধার করে দেয়। আমরা এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই এবং আসামীদের ফাঁসি চাই।
গোগনগর ইউপি ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইকবাল প্রধান বাপ্পী জানান, আমি খবর পেয়ে দ্রুরুত্ব এখানে আসি। নিহত মহিলা ২টা অপারেশেনের রুগী ছিলেন। অনেকের মুখে সুনেছি শেকুল মিয়ার পরিবার বিনা অপরাধে বৃদ্ধা মহিলাকে মেরেছে এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি। আমাদের চেয়ারম্যান এর নির্দেশ রয়েছে কোন মেম্বারের ওয়ার্ডে যেন ঝগড়া যাটি না হয় সে দিকি লক্ষ রাখতে বলেছে।
এ ঘটানা সত্যতা শিকার করে সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ( ওসি) আনিচুর জানান, এঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আমার কাজ করবো। এবং একজনেকে গ্রেফতার করেছি বাকী আসামীদেরকে দ্রুত্ব গ্রেফতার করবো।
ঘাতক শেকুলের গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পরলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে এবং মীমাংসার জন্য তদবির চলার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
এবিষয়ে নিহতের ছেলে রাসেল জানান এমন গুঞ্জন আমিও পাইছি কিন্তু কতটুকু সঠিক তা আমার অবগত নেই। আমরা আসামীদের দ্রুত ফাঁসি চাই।