শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ১২ টায় তল্লা সুপারী বাগ এলাকায় শাহীনের মেয়ে সাইফা (১৮), মো: শাহীন (৫০), পিতা-অজ্ঞাত, মোসাম্মৎ রাবেয়া, স্বামী-মো: শাহীন, সাদিয়া-পিতা-মো: শাহীন, সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ মিলে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
ইমনের স্বজনরা আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে ইমন।
এ ব্যাপারে তল্লা বড় মসজিদ এলাকার মৃত: তারা মিয়ার পুত্র সাইদুল হক বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যা নিচে তুলে ধরা হলোঃবিনীত নিবেদন এই যে, আমি সাইদুল হক (৫০), জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৭৩১৬৩৩৬৩১৭ পিতা-মৃত: তারা মিয়ার সাং তলা বড় মসজিদ, থানাঃ- ফতুল্লা জেলাঃ-নারায়নগঞ্জ থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে বিবাদী ১। সাইফা (১৮), পিতাঃ শাহিন (৫০), মো: শাহীন পিতা-অজ্ঞাত, মোসাম্মৎ রাবেয়া, স্বামী-মো: শাহীন, সাদিয়া-পিতা-মো: শাহীন, সর্ব সাং তল্লা সুপারী বাগ, থানাঃ- ফতুল্লা জেলা নারায়নগঞ্জ সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, উক্ত ১নং বিবাদীনি ও আমার ছেলে মো: ইমন (২২) একত্রে লেখা-পড়া করার সুবাদে তাহাদের সহিদ পরিচয়।এক পর্যায়ে ১ নং বিবাদীনির সহিদ আমার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। অতঃপর আমার ছেলে ১ নং বিবাদীনিকে একটি মোবাইল ফোন ক্রয় করিয়া দেয়। ১নং বিবাদীনি আমার ছেলের সহিদ মোবাইল ফোনে কথবার্তা বলিত।পরবর্তীতে ১ নং বিবাদীনির ও আমার ছেলের সম্পর্কের বিষয়ে ২নং বিবাদী জানিতে পারিয়া আমার ছেলেকে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি প্রদান করা সহ ১নং বিবাদীনির সহিদ সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলে।১নং বিবাদীনি উক্ত ২ নং বিবাদীর ভয়ে তাহাদের সম্পর্কে বিষয়ের সম্পূর্ণ দোষ আমার ছেলের উপর দেয়। ১নং বিবাদীনির এহেনকার্যকলাপের ফলে আমার ছেলে ১নং বিবাদীনির সহিদ সম্পর্ক ছিন্ন করিয়া দেয়।
গত ০১ সপ্তাহ যাবৎ ১নং বিবাদীনির সহিদ আমার ছেলের কোন প্রকার যোগাযোগ কিংবা দেখা সাক্ষাত হয় নাই।এরই মধ্যে গত ইং-২৩/১২/২০২২ তারিখ রাত অনুমান ১২ টার সময় ২ হইতে ৪ নং বিবাদীগনের ইন্দনে ও পরামর্শে ১ নং বিবাদীনি আমার ছেলের দেয়া মোবাইলটি ফেরত দিবে মর্মে জানাইয়া আমার ছেলেকে ১নং বিবাদীনির বাড়ীতে যাইতে বলে।আমার ছেলে ১নং বিবাদীনির কথায় সরল বিশ^াসে তাহার মোবাইলটি আনার জন্য গেলে ২ হইতে ৪নং বিবাদীগন সহ অজ্ঞাতনামা জ্জ জন আমার ছেলেকে তাহাদেও উক্ত ঠিকানার বাড়ীর সামনে পাইয়া অতর্কিতভাবে এলোপাথারী মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।এক পর্যায়ে বিবাদীগন আমার ছেলেকে জোর পৃর্বক টানা হেচড়া করিয়া তাহাদের বাড়ীর ভিতরে নিয়া যায় এবং আমার ছেলেকে এলোপাথারী কিল, ঘুষি ও লাথি মারিতে থাকে।২নং বিবাদী আমার ছেলেকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাহার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা মাথায় আঘাত করিয়া মাথার মাঝখানে গুরুত্বও রক্তাক্ত ফাঁটা জখমম করে।
আমার ছেলে মাটিতে লুটাইয়া পরিলে ২নং বিবাদীরি ইন্দনে অজ্ঞাতনামা জ্জ জন আমার ছেলেকে এলোপাথারী মারধর করাসহ আমার ছেলের ডান হাত ভাঙিয়া ফেলে।৩ ও ৪নং বিবাদীদ্বয় আমার ছেলেকে এলোপাথারী কিল,ঘষি ও লাথি মারিতে থাকে।৩নং বিবাদীনি আমার ছেলেকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাহার হাত দ্বারা আমার ছেলের গলা চাপিয়া শ^াসরোধ করার চেষ্টা করে।বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের হস্তক্ষেপ কামনা করেন অসহায় সাইদুল হক এর পরিবার।