শয্যাশায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ লুৎফর রহমানকে দেখতে গেলেন জেলা প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় শহরের আল্লামা ইকবাল রোড এলাকার বাসায় অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নেন তারা। এসময় জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের নির্দেশে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসমত আরা এবং নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. ফরহাদ হোসেন।
এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইসমত আরা বলেন, যাদের কারণে আমরা এ স্বাধীনতা পেয়েছি। উনাদের এমন অবস্থা দেখতে সত্যিই খারাপ লাগে। জেলা প্রশাসক স্যার বিষয়টি জানতে পেরে আমাদের পাঠিয়েছেন। আমরা দেখে গেলাম বিষয়টা স্যারকে জানাবো। তারপর দেখা যাক কি করা যায়।
ওইসময় অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তার পিতার জন্য রাজধানীর সরকারী হাসপাতালে আইসিইউ বেড অথবা কেবিনে রেখে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য আকুল আবেদন জানায়। এর প্রেক্ষিতে মুক্তিযোদ্ধার শারিরীক অবস্থার উন্নতিতে চিকিৎসা সহযোগীতার জন্য উপস্থিত আবাসিক চিকিৎসককে নির্দেশ দেন। চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বিষয়টি দেখবেন বলেও আশ্বস্ত করেন।
এদিকে দুপুরে গুরুতর অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাকে দেখতে যাবেন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ। এমনটা চাউর হলেও তিনি যাননি। এরআগে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও অবহেলিত মুক্তিযোদ্ধার অসুস্থতার বিষয়টি প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত রাজনৈতিক ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেউই উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থায় এগিয়ে আসেনি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকলেও রাজনৈতিক ও প্রসাশনিকভাবে অবহেলিত রয়েছেন সৈয়দ লুৎফর রহমান। গত (৩ জানুয়ারি) সোমবারই নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ৩৩ দিন চিকিৎসা সেবা নেয়ার পর বাড়িতে নিয়ে যায় তার পরিবার। এরআগেও ব্রেন স্ট্রোক ও কিডনিতে ইনফেকশন জনিত কারণে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ট হাসপাতাল, নিউরো সাইন্স ইনস্টিটিউট ঘুরে কোথাও বেড না পেয়ে সবশেষ একটি বেসরকারীতে ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ্য হয়েছিল। তবে বর্তমানে সার্বিক দিক থেকে অসহায় হয়ে পড়েছেন মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান। তাই নিজ বাড়িতে শয্যাশায়ী হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।