নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার মৃত্যুÐপ্রাপ্ত প্রধান আসামী নূর হোসেনের বিরুদ্ধে সাক্ষী না আসায় আদালতে তোলা হয়নি তাকে। এদিন কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে আনা হলেও সাক্ষী না আসার কারণে তাকে আদালতে উঠানো হয়নি।
পরে আদালত আগামী ২৮ ফেব্রæয়ারী পরবর্তী সাক্ষী গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। সেই সাথে আসামী পক্ষের আইনজীবীরা নূর হোসেনকে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার আবেদন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালত এবং ৪ নং সহাকারী দায়রা জজ আদালতে দুইটি মামলায় স্বাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা ছিল। কিন্তু সাক্ষীরা কেউ না আসায় শেষ পর্যন্ত কোনো আদালতেই সাক্ষগ্রহণ করা হয়নি।
আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন বলেন, নূর হোসেনকে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে আনা হয়েছিল। কিন্তু সাক্ষীরা কেউ না আসায় শেষ পর্যন্ত তাকে কোনো আদালতেই উঠানো হয়নি। দুইটি মামলায় দুই আদালতে সাক্ষী গ্রহনের দিন ধার্য্য করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আমরা আদালতের কাছে আবেদন করেছি নূর হোসেনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার জন্য। কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে নিয়ে আসতে অনেক সময় লেগে যায়। যার কারণে যথাসময়ে নারায়ণগঞ্জ উপস্থিত হতে পারে না। আমরা আবেদন করেছি সেটা আদালত বিবেচনা করবে।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকে জাসমিন আহমেদ বলেন, সাক্ষীরা না আসায় নূর হোসেন আদালতে তোলা হয়নি। এদিন তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক দুই মামলার সাক্ষগ্রহণ ছিল।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়র জজ আদালতে একটি এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয়) আদালতে দুইটি মামলায় স্বাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা ছিল। সেই সাথে সাক্ষীরাও এসেছিলেন। কিন্তু সেদিন নূর হোসেন অসুস্থ ছিলেন। যার কারণে নূর হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়নি সেই সাথে সাক্ষ্যগ্রহণও হয়নি।
তার আগে গত ৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়র জজ আদালতের বিচারক মুন্সি মোঃ মশিয়ার রহমানের আদালতে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়ের করা একটি মাদক ও অস্ত্র মামলায় চার্জ গঠনের নির্দেশ দেন।
আর এই চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে নূর হোসেন সহ ১১ আসামীর বিরুদ্ধে আরও একটি মাদক ও একটি অস্ত্র মামলায় বিচার কাজ শুরু হয়েছে। এই মামলার অন্য আসামীরা হলেন, মোস্তফা জামান চার্চিল, রিপন ওরফে ভ্যানিজ রিপন, আলী মাহমুদ, নুরুদ্দিন, শাহ জালাল বাদল, শাহ জাহান, সানাউল্লাহ, হারুন অর রশিদ ও মাসুদ।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৪ সালের ২৯ মে তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও কিছু দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে এই ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের শুনানী শেষে আদালত চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বর্তমানে এই দুই মামরার বিচার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।