সোনারগাঁ উপজেলায় ১৯ দিন ধরে সাব-রেজিস্ট্রার পদটি শূন্য থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন জমির ক্রেতা-বিক্রেতারা। গত ১৭ ডিসেম্বর সাব-রেজিস্ট্রার বজলুর রশিদ মন্ডল বদলি হন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) পর্যন্ত সেখানে সাব-রেজিস্ট্রার পদে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।
সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় জমির দলিল রেজিস্ট্রি, নতুন দলিল উত্তোলন ও দলিলের নকল সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে। অফিসের কর্মচারীরা এখন অলস সময় পার করছেন। পাশাপাশি এই কার্যালয়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক-কর্মচারীরা বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই চিকিৎসা, মেয়ের বিয়েসহ নানা খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
আফজাল হোসেন বকুল নামের একজন বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় আমরা যারা জমি বেচাকেনা করবো তাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। জমি বায়না দিয়েও রেজিস্ট্রি করতে পারছি না।
জমি রেজিস্ট্রি করতে না পারায় এর পরবর্তী ধাপের কাজগুলো অসমাপ্ত থেকে যাচ্ছে। যারা জমি বিক্রি করবেন তাদের অনেকেই দেশের বাইরে চলে যাবেন।
বারদী ইউনিয়নের দৌলদ্দি গ্রামের আল-আমিন হোসেন বলেন, গত সাত দিন ধরে জমি রেজিস্ট্রির জন্য এখানে বারবার আসছি। আমার মতো অনেকেই তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে রেখে এখানে এসেছেন। কিন্তু কাজ করা হচ্ছে না।
সোনারগাঁ উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এইচ এম এ আউয়াল ভুঁইয়া বলেন, আগে প্রতিদিন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ১৫০-২০০ দলিল তৈরি হতো। গত ১৯ দিন ধরে সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় সরকার প্রায় ১০-১৫ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে বলে আমার ধারণা।
দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদ সরকার বলেন, গত ১৭ নভেম্বর সাব-রেজিস্ট্রারকে বদলি করা হয়। এখন পর্যন্ত এ পদে কাউকে পদায়ন করা হয়নি। এতে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার জামিলুর রহমান বলেন, কবে নাগাদ নতুন সাব-রেজিস্ট্রার আসবে তা আমার জানা নেই। এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।