বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেছেন, সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী ২০২৩ সালে এ দেশে নির্বাচন হতে হবে। যদি সাংবিধানিক নিয়মে নির্বাচন না হয় তাহলে আমরা সেই নির্বাচনে যাব না এবং সেই নির্বাচন আমরা মানবো না।
তাহলে যদি নির্বাচন হতে হয় তাহলে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশনার গঠন করতে হবে তাহলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে তা না হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবেনা। এবং বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না।
যদি নির্দলীয় তত্ত¡াবধায় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয় তাহলে বিএনপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয়ী হবে এবং ২৭দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্র মেরামত করতে পারবে।
বিএনপি ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনে ১০ দফা দাবি ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা নিয়ে ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শীর্ষক নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আলোচনা সভায় বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় সিদ্ধিরগঞ্জ চিটাগাংস্থ তাজমহল চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আর যদি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হয় আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তাহলে আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু মুক্তি পাবে না। সুতরাং তাকে আর সময় দেওয়া যাবে না তাকে হটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তাহলে বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবে, তারেক জিয়া দেশে আসতে পারবেন। এবং দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিবেন।
তারেক জিয়া আমরা যা প্রত্যাশা করেছি তার চেয়ে অনেক বেশি দিয়েছে এই জাতিকে। তার নেতৃত্বে আগামীতে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শক্তিশালী দেশ হিসাবে এ দেশ রূপান্তরিত হবে। আমরা ফিরে পাব আমাদের হারানো গণতন্ত্র দেশের মানুষ ফিরে পাবে তাদের ভোটের অধিকার।
সুতরাং আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। নিজেদের মধ্যে দ্বিধা দ্ব›দ্ব রেখে আন্দোলন সংগ্রাম হবে না। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশনায়ক তারেক রহমানের ঘোষিত কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহŸায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও মাশুকুল ইসলাম রাজিবের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এড. আহমদ আযম খান।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, আজহারুল ইসলাম মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন, যুগ্ম আহŸায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, লুৎফর রহমান খোকা, জুয়েল আহম্মেদ, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক আহŸায়ক আঃ হাই রাজু, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহŸায়ক রুহুল আমিন শিকদার, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম টিটু, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহŸায়ক মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সদস্য সচিব বাছির উদ্দিন বাচ্চু, সোনারগাঁ পৌরসভা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মেম্বার, গোপালদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মিলন, আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান,কাঞ্চন পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমার,জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান স্বপন, সাবেক সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম ইমন, যুগ্ম সম্পাদক রাসেল রানা, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া প্রমুখ।