আজকে যারা সামনে বসে আমাদের কথা শুনছো, যারা এখানে বৃত্তি নিতে এসেছো, তারাই একদিন দেশ পরিচালনা করবে। তোমাদের মধ্য থেকে গড়ে উঠবে আগামি নেতৃত্ব। একদিন তোমরা আমাদের চেয়ারে বসবে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে। সেদিন খন্দকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই বৃত্তিপ্রদাণ সফল হবে।
গতকাল সোমবার বিকেলে বন্দর উপজেলার কল্যান্দী এলাকায় খন্দকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তিপ্রদান ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল।খন্দকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোদাসসেরুল হক দুলাল, ফারুক বিন ইউসুফ পাপ্পু, কল্যান্দী পঞ্চায়েত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি সামসুল হক, পশ্চিম কল্যান্দী পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার প্রধানসহ স্থানীয় মুরব্বীরা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, অতিতে আমরা অনেক সংসদ সদস্য দেখেছি, যারা নির্বাচিত হয়ে শুধু নিতেন, জনগনকে দিতেন না। কিন্তু আমাদের বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান সেই ধারায় পরিবর্তন এনেছেন। নিজের টাকা খরচ করে যেখানে যা দরকার তাই করছেন। আমাদের এমপি নিতে আসেননি, উনি আপনাদের দিতে এসেছেন। বর্তমান সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ণের মহাসড়কে রয়েছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল উদ্বোধন করেছেন। এখন অপেক্ষায় আছে কর্ণফুলি টানেল। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ- এ রূপান্তর করবেন। তিনি তার কথা রেখেছেন। এখন বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে। এবার আমাদের নেত্রীর লক্ষ্য ‘ভিশন ২০৪১’। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন তিনি।
আপনারা যদি আমাদের নেত্রীকে আবারো ক্ষমতায় বসান, তাহলে বাংলাদেশ ঠিকই স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। সভাপতির বক্তব্যে খন্দকার সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা সব সময়ই সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করার চেষ্টা করি। মেধাবীদের শিক্ষাবৃত্তি, সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে থেকে সহযোগিতা করা আমাদের রুটিন কাজ। আমরা কোন জাত, ধর্ম-বর্ণ বিবেচনা করিনা। আমরা মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।পরে ৭০জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ও শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।