ফতুল্লা লঞ্চঘাট কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে নৌপথে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে নিরাপদে পাচার হচ্ছে মাদক। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দুইবার অভিযান চালিয়ে ঘাটের কর্মচারীসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করেছে।
বিগত দিনগুলোতে ঘাট দিয়ে মাদকের চালান পাচার হলেও সা¤প্রতিক সময়ে দুটি মাদকের চালান আটকের পর তা নিয়ে ফতুল্লায় নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দিনে। এ নিয়ে স্থানীয় মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। ঘাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
সূত্রমতে, ফতুল্লা লঞ্চঘাট যেন মাদকের নিরাপদ ঘাঁটি হিসেবে পরিনত হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলে মাদক পাচারের ক্ষেত্রে মাদক ব্যবসায়ীদের জন্য এই ঘাট নিরাপদ। ফলে এ ঘাট দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান সহজেই চলে যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর সাড়ে চারকেজি গাঁজাসহ ঘাটের দুই কর্মচারী নাঈম, মিশু ও রতনকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের একটি টিম।
এ ঘটনার একমাস পর গত সোমবার ফতুল্লার লঞ্চঘাট এলাকা থেকে পাঁচ (৫)কেজি গাঁজা সহ ফতুল্লা মডেল থানার কোতালের বাগ এলাকার খালেক মিয়ার ভাড়াটিয়া আব্দুর রহমানের পুত্র মোঃ সায়েম রাব্বি (২৮) ও পটুয়াখালী জেলার সদর থানার দক্ষিন বিমার ইলিয়াস প্যাদার পুত্র মোঃ ইমন (২০)।
প্রসঙ্গত, ফতুল্লা লঞ্চঘাট বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ার পর থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা এই ঘাটকে নিরাপদ পথ হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছে। এছাড়াও টোল আদায়ের নামে যাত্রীদের নানা ভাবে হয়রানিসহ বহিরাগত ক্যাডারদের দিয়ে ঘাট পরিচালনা করারও অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী মহল।