নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও দলটির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কোরআন খতম, আলোচনা সভা এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারী) বিকেল ৪ টায় মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী নুরুউদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও সাবেক যুববিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শোখনের সঞ্চালনায় মাসদাইর মজলুম মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।
এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা এ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আতাউর রহমান মুকুল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু।
এসময়ে আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল, নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক চৌধুরী দিপু, সাবেক নগর বিএনপির প্রচার সম্পাদক এ্যাড. আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, মহানগর বিএনপি নেতা আনোয়ার মাহমুদ বকুল, ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ।
এ সময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ইতিহাসকে বিকৃতি করার জন্য বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা বলেন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই। অথচ তাজউদ্দিন আহম্মেদের মেয়ে পিতা ও নেতা একটি বই লেখছে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে আমার বাবা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বলেছেন। কিন্তু তিনি ঘোষণা দেন নাই। অথচ জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা শোনা গেছে এবং ঐ ঘোষণার পর থেকেই হাজার হাজার মানুষ যুদ্ধে জাপিয়ে পড়েছে।
প্রধানবক্তা হিসেবে আতাউর রহমান মুকুল বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একটি তলাবিহিন দেশের জন্য যে অবদান রেখে গেছেন। সেটা আর কোন রাজনীতিবিদ করে যেতে পারেনি। জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার ঘোষণা করা হয়ে ছিলো কিন্তু আওয়ামীলীগ সেটা অস্বীকার করে। ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধু সংগ্রামের জন্য ডাক দিয়েছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই। বারবার শেখ হাসিনা বলে আমরা নাকি স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করছি। কিন্তু এই বাঙ্গালী জাতি জানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা ঘোষণা হয়েছে এবং দেশ স্বাধীন হয়েছে। যারা তৎকালিন সময় আওয়ামীলীগ করেছেন তারা কেউ যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন নাই।
আর যারা বিএনপি করেন তারা অনেকেই যুদ্ধে অংশগ্রহন করে রনাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। সে সময় যারা আমাদের বন্দরে আওয়ামীলীগ করতো তারা কেউই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন নাই। আমি অনেকের নাম বলে দিচ্ছি, আশেক আলী সাহেব, গিয়াসউদ্দিন সাহেব, সিরাজ সাহেব, লতিফ মাষ্টার, মিলন কাকা, শুক্কুর মাহমুদ সাহেব, শামসুল হক সাহেব তারা কেউই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন নাই। অথচ তারা মুক্তিযুদ্ধের নাম বিক্রি করে খাচ্ছে। আর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ডাকে এদেশের মেহনতি মানুষ যুদ্ধে জাপিয়ে পরেছিলো।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলো, মহানগর বিএনপির সাবেক শিশু বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর ইসলাম মিঠু, সাবেক সহ-সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শহীদ মেম্বার, সাবেক সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শরীফুল ইসলাম শিপলু, মহানগর জিয়া মঞ্চের আহবায়ক রানা মুজিব, মহানগর বিএনপি নেতা এ্যাড. শহীদ সারোয়ার, এ্যাড.সামাদ মোল্লা, এ্যাড. আলী হোসাইন, আলী আকবর, জুয়েল, সাখাওয়াত খন্দকার, রাসেল আহম্মেদ মনির, আবু হোসেন, মোমেন উদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস রাজীব সহ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বিভিন্ন থানা, ইউনিয় ও ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মহানগর ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ সিব্বির আহম্মেদ। দোয়া শেষে এর আগে দিনভর কোরআন খতম করা মার্দ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন ও শীতবস্ত্র বিতরণ করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দরা।
