বন্দরে ২১নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন পাড়া মহল্লার প্রায় ১৫টি স্পটে মাদক ব্যবসা বেশ জমে উঠেছে। উল্লেখিত ওয়ার্ডের চিহিৃত মাদক স¤্রাট ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী রাসেল রানা ওরফে ফেন্সি রাসেলসহ শীর্ষ একাধিক মাদক ব্যবসায়ীরা উল্লেখিত ওয়ার্ডের শাহীমসজিদ, দত্তবাড়ী, হাফেজীবাগ কলোনী, শাহীমসজিদ খালপাড়, ছালেহনগর, বাংলাদেশ পাড়া, বাড়ৈইপাড়া, রুপালী আবাসিক এলাকা, সোনাকান্দা এনায়েতনগর, সোনাকান্দা কবরস্থান রোড, সোনাকান্দা নোয়াদ্দাসহ বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় দেদারসে মাদক বিক্রির স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখিত এলাকায় প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে চলছে এ সকল রমরমা মাদক ব্যবসা। প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মাদক কারবারিরা কিছু দিন জেল খেটে বিজ্ঞ আদালত হইতে জামিনে বের হয়ে কোন অদৃশ্য শক্তির বলে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ফ্লিম স্টাইলে উল্লেখিত এলাকায় দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে মরন নেশা মাদক। হাত বারালেই এই ওয়ার্ডে পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হিরোইন ও গাঁজাসহ নানা প্রকার মাদক দ্রব্য।
২১ নং ওয়ার্ডের মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হলো, শাহীমসজিদ এলাকার ফেন্সি রাসেল ওরফে পল্লী রাসেল,জনি ওরফে চেয়ারম্যান,গাঁজা ব্যবসায়ী হাবু,আনোয়ার,অলি, চান্দু, ছালেনগর এলাকার নাজমা ওরফে নাজু,সমু রাজু,নাদিম,বাবু সিকদার,শাহজালাল,বাড়ইপাড়া এলাকার বোবা,জামান,রুপালী আবাসিক এলাকার মৃত আক্তার হোসেন কাইল্লা মিয়ার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আরিফ,শফিক,এনায়েত নগর এলাকার সামসু,দক্ষিন খালপাড় এলাকার হেরোইন ব্যবসায়ী আলআমিন, সোনাকান্দা কবরস্থান রোড এলাকার সজিব ওরফে লাউয়া সজিব, হাকিম মিয়ার ছেলে মাসুম, ছালেনহনগর এলাকার মৃত ছবির প্রধানের ছেলে মাছুম প্রধান ও তার ছেলে হৃদয় ও সোনাকান্দা এনায়েতনগর এলাকার জনী, মহসিন ওরফে মুইচ্ছা সোনাকান্দা নোযাদ্দার এলাকার কবির মিয়ার ছেলে মামুন, ।
মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বন্দর ২১নং ওয়ার্ডের শাহীমসজিদ এলাকায় ফেন্সি রাসেল ওরফে পল্লী রাসেল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে। মাদক কারবারি এই রাসেল শাহীমসজিদ এলাকার পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে দালালীর অন্তরালে ফেরি করে ফেন্সিডিল বিক্রি করে থাকে। বিদ্যুৎ অফিসেও তার বিরোদ্ধে অভিযোগের পাহাড়। সাধারন মানুষকে মিটার দেয়ার নাম করে টাকা আতœসাত করে কয়েকবার থানা হাজতেও আটক থাকলেও প্রভাবের কারনে ছাড়া পেয়ে যায় এই প্রতারক মাদক কারবারি। কয়েক মাস পূর্বে এই মাদক ব্যবসায়ী রাসেল কুমিল্লা থেকে ফেন্সিডিল বহন করে আসার সময় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারও হয়।
অপরদিকে একই এলাকার গাজাঁ ব্যবসায়ী হাবিবুর ওরফে টেটনা হাবু। সে শাহী মসজিদ এলাকার মৃত জজ মিয়ার ছেলে ও বন্দর থানা ছাত্রলীগ নেতা মাঈনুর চাচা। স্থানীয় ভাবে প্রভাবের কারনে পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে এলাকায় দেদারসে মাদক বিক্রি করছে। ছালে নগর এলাকার চিহিৃত মাদক স¤্রাজ্ঞী নাজমা ওরফে নাজু গাঁজা ও ইয়াবা বিক্রি করলেও মানুষ ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। মাদক ব্যবসায়ী বাবু সিকদার বর্তমানে মাদক মামলায় জেল হাজতে আছে। রুপালী আবাসিক এলাকার কাইল্যার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আরিফ রুপালীতে মাদক ব্যবসা করছে। সোনাকান্দা কবরস্থান রোডে সজিব ওরফে লাউয়া সজিব সাইকেলে চড়ে বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা ব্যবসা করে বেরাচ্ছে। এনায়েত নগর এলাকার সামসু ও মাসুম মিলে কবরস্থানের পাশে মোবাইলের মাধ্যমে ক্রেতাদের এনে মাদক ডেলিভারী দিয়ে থাকে।
স্থানীয় ওয়ার্ডবাসী জানায়, এলাকাবাসী উল্যেখিত মাদক ব্যবসায়ীদের মাদক ব্যবসা বাধা দিতে গেলে পড়তে হচ্ছে হুমকির মুখে। তারা ঘাঁটি গেড়ে নানা ধরনের মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে ।
এতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ, তাদের দ্রæত প্রতিকার না করা গেলে বন্দরের যুবসমাজ পুরোপুরি ধ্বংসের পথে চলে যাবে। মাদকের ব্যাপকতা রোধে পুলিশের নিয়মিত টহল ও অভিযান চললেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রকৃত মাদক ব্যাবসায়ী ধরা পড়েনা। কিছু অসৎ পুলিশ কর্মকর্তা ও সোর্স মাদক ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে বিশেষ লেনদেনের মাধ্যমে জিইয়ে রেখেছে মাদক ব্যাবসা। মাদকের সহজ লভ্যতার কারণে এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের নিয়ে তাদের অভিভাবকরা উদ্বগ্নি হয়ে পড়েছেন। তাই তাদেরকে দ্রæত প্রতিহত করতে আমরা সকলে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে ওসি আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, আমরা সব সময় মাদকের বিরোদ্ধে। তবে মাদকের পাশাপাশি আমাদের সকল দিকেই নজড়দারি করতে হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর রয়েছে, তারাও অভিযান পরিচালনা করছে। মাদকের স্পট গুলো সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে অবশ্যই আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।