বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, ২৫ জানুয়ারিকে অনেকে বলেন গণতন্ত্র হত্যা দিবস। আমি বলি এটা রাজতন্ত্র কায়েম দিবস। বাকশালে এক ব্যাক্তির ওপর সব ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল। নিজের বানানো দল আওয়ামী লীগকে দাফন করেই তিনি ক্ষ্যান্ত হয়েছিলেন। অযৌক্তিক হলে আওয়ামী লীগের বন্ধুরা চেঁচামেচি করেন এবং গালিগালাজ করেন। এই আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তার অনুমতিতেই মৃত আওয়ামী লীগকে জীবিত করতে পেরেছিল। সেই হিসেবেও তো তিনি সম্মান পেতে পারেন।
গণতন্ত্র হত্যা দিবসে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০দফা এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল কারাবন্দিদের মুক্তি ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি ) বিকেল তিনটায় নারায়ণগঞ্জ নগরীর চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র চিরন্তন বস্তু। সেই রাষ্ট্র এবং সরকারকে আজ আপনারা গুলিয়ে ফেলেছেন। আপনারা খেলার কথা বলেন। আমরা মাঠে খেলতে গিয়ে দেখি প্লেয়ার পুলিশ ডিবি। এত খেলা খেলতে চান। এখন আপনারা ছক্কায় পোক্কা হয়ে গেছেন। লুডু খেলার একটা বৈশিষ্ট্য আছে। ছয় একবার উঠলে আবার মারতে হয়। আওয়ামী লীগ তিন ছয় মেরে ফেলেছে। তিন ছক্কায় তারা পোক্কা হয়ে গেছে।
তিনি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রসঙ্গে টেনে ওবায়দুল কাদের অনেক বড় বড় কথা বলে। আরে আপনার দলের লোকেরাই তো আপনার কথা শোনে না। মাঝে মাঝে মঞ্চ থেকে নেমে যান। আপনার আপন ভাই বলেছে ওবায়দুল কাদেরকে এ মাটিতে পা রাখতে দেব না। আর মাতব্বরি করতে আসবেন না। আপনাদের দিন শেষ। আওয়ামী লীগ হল রেশমি মিঠাই। চাপ দিলে দেখবেন এতটুকু হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, গতকাল অর্থমন্ত্রী সংসদে বিশজন ঋণ খেলাপীর নাম বলেছেন। খাম্বার কথা বলত বিএনপিকে সেই খাম্বার মালিক আজ তাদের দুই বারের এমপি। বেয়াইর সাথে ঝগড়া তাই বেয়াইকে বিদেশে পাঠিয়েছেন।
এদিকে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে দুপুর থেকেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন সুসজ্জিত হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই শ্লোগানে শ্লোগানে খÐ খÐ মিছিল নিয়ে চাষাড়া শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে হাজির হয়।
একসময়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সরকারের পদত্যাগসহ ১০দফা দাবি এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিশেষ অতিথি বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আব্দুস সালাম আজাদ, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ- সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, প্রধান বক্তা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম টিটু, মাশুকুল ইসলাম রাজিব, লুৎফর রহমান খোকা, মোশাররফ হোসেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, জেলা বিএনপি সদস্য ও ৭.৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দীনা, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক আঃ হাই রাজু, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রুহুল আমিন শিকদার, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সদস্য সচিব বাছির উদ্দিন বাচ্চু, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল,কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান স্বপন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ডা. মজিবুর রহমান, বরকত উল্লাহ, সাখাওয়াত ইসলাম রানা, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, শাহিন আহমেদ, মাহমুদুর রহমান, মাসুদ রানা, হাবিবুর রহমান দুলাল, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, ফারুক হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম সজিব, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল রানা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু,জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, আড়াইহাজার উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম ভুঁইয়া, মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক এস এম আসলাম, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, সাধারণ সম্পাদক রুমা আক্তারসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।