নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন পিরোজপুর এলাকায় আগমন সিএনজি পাম্প সংলগ্ন এনইপিসি-০৩ পাওয়ার কোম্পানির ইয়ার্ডে ডাকাতি মামলায় ৫ (পাঁচ) জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও সোনারগাঁও থানা পুলিশ।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, ওমর ফারুক ওরুফে চাপাতি ফারুক(৩২) পিতা মৃত নজরুল ইসলাম, রবিন (২৬) পিতা রহমান, ইমরান (২২) পিতা মোঃ ইমতিয়াজ, আলী আক্কাস(২০) পিতা জাকির হোসেন, লেহাজ উদ্দিন (৫২) পিতা মৃত রমিজ উদ্দিন তারা সকলেই সোনারগাঁও থানাধীন পিরোজপুর এলাকায় বাসিন্দা।
এই ঘটনায় সোনরগাঁও থানার মামলা নং-৩৭, তারিখ-২১/০১/২০২৩, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড রুজু হয়।
এসময় পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, গত ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যা অনুমান ৬ টার সময় অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাত দা, রামদা, চাপাতি, লোহার রড, ছুরি, লাঠি-সোটা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানাধীন পিরোজপুর সাকিনস্থ আগমন সিএনজি পাম্প সংলগ্ন এনইপিসি-০৩ পাওয়ার কোম্পানীর ইয়ার্ডে প্রবেশ করে কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড এর হাত-পা বেধে উক্ত ইয়ার্ড এর ভিতরে থাকা শ্রমিকদের একটি কক্ষে নিয়ে আটক করে।
এরপর উক্ত ইয়ার্ডে কর্মরত চাইনিজ নাগরিক উগং (সুপার ভাইজার), লিউ যাইকিং, সং কিজুং, দো-ভাষী গোলাম আজম ও ড্রাইভার তরিকুলদের হাত-পা বেধে মারধর করে ও কোপাইয়া জখম করে এবং তাদের নিকট থেকে চাইনিজ মুদ্রা, ইউএস ডলার সহ সর্বমোট ১১,৭৪,০০০/- টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়।এ ঘটনায় চীনা নাগরিক উগং গুরুতর কাটা জখম প্রাপ্ত হয়।
এসময় তিনি আরো বলেন, ২৩ জানুয়ারি সোনারগাঁও থানার পিরোজপুর এলাকা থেকে ডাকাত ওমর ফারুক ওরুফে চাপাতি ফারুককে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্য মতে ডাকাতির ঘটনার সাথে নিজেকে সহ মোট ১২ (বার) জনকে জড়িয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করেন। পরবর্তীতে আরো অভিযান পরিচালনা করে সোনারগাঁও থানা এলাকা ও আশপাশ এলাকা হইতে গত ২৪ জানুয়ারি ডাকাত রবিন, ইমরান, আলী আক্কাস ও লেহাজ উদ্দিনদেরকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ । উক্ত ডাকাতির ঘটনায় মোট ০৫(পাঁচ) জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।