নারায়ণগঞ্জে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই গ্রুপে মাহাবুব- রফিকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে সম্মলনে আসা নেতাকর্মীরা জানান। আহত মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী জসিম ও অপুর নাম জানা গেছে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) শহরের দেওভোগে জান্নাত কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী নেতাকর্মীরা জানান, কর্মী সম্মেলনে যোগ দিতে রূপগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রফিকের নেতৃত্বে রূপগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা বিশাল মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে উপস্থিত হন। একই সময় মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে আসেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান।
এসময় সম্মেলনস্থলে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এতে ¯েøাগান পাল্টা ¯েøাগানের এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মাহাবুবের হয়ে রফিক সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় ফতুল্লা থানা স্বেচ্চাসেবকদলের সদস্য সচিব রাসেল মাহামুদ।
ফলে পিছু হটে যায় রফিক সমর্থিত নেতা- কর্মীরা। এতে মাহবুব ও তার সমর্থিত নেতাকর্মীরা মারধরের শিকার হন ও তাদের ২ কর্মী মারাত্মক আহত হন। পরে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়।
এসময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম সহ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় সদর মডেল থানা পুলিশের একাধিক টিম।
এসময় সম্মেলনস্থলে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম জানান, ভুল বুঝাবুঝিতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল।