সোনারগাঁ যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও তার স্ত্রী বিউটি আক্তারের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক প্রবাসী। চাঁদাদাবি, জমি দখলসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী শরিফ হোসেন।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) লিখিত ওই অভিযোগটি দেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি (সোনারগাঁ জোন) কে নির্দেশ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে শরিফ হোসেন জানান, আমি সৌদি আরবে দীর্ঘ দিন প্রবাস জীবন-যাপন করেছি। দেশে ফিরে এসে সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চর মেনিখালী মৌজায় লিটন মিয়া ওরফে ইব্রাহীমের কাছ থেকে ৮ শতক জমি ক্রয় করি বাড়ি নির্মাণের জন্য। জমি নামজারি করে সেখানে মাটি ভরাটও করেন। এরপর দশতলা ভবন নির্মাণের জন্য মাটির পরীক্ষা সম্পন্ন করে সম্প্রতি জমিতে রড, সিমেন্ট ও ইট-বালু এনে নির্মান কাজ শুরু করবো।
গত ১০ জানুয়ারি যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও তার স্ত্রী বিউটি আক্তারের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের সন্ত্রাসী দল জমিতে এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে শ্রমিকদের মারধর করে। জমির উপর দাঁড়িয়ে নান্নুর স্ত্রী বিউটি আক্তার আমাকে মোবাইল ফোনে কল করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে ও হুমকি প্রদান করে। জমিতে গেলে আমাকে প্রাণে ফেলবে বলেও হুমকি দেয় বিউটি। একই সাথে আমাকে দেশ ছাড়তে নির্দেশ দেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শরিফ হোসেন বলেন, নান্নু ও তার স্ত্রী মিলে আমার জমিটি দখলের পায়তারা করছে। তারা এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছে আমার কাছে। আমার নির্মাণ সামগ্রী খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে। আমি কাজ করতে পারছি না। প্রবাস জীবনের আয় দিয়ে আমি জমি কিনে মার্কেট নির্মান করার উদ্যোগ নিয়েছি। অথচ যুবলীগের এই নেতা ও তার স্ত্রীর কারনে আজ আমার স্বপ্ন ধূলিসাৎ হতে বসেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার আমাদের মতো প্রবাসীদের রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে আখ্যায়িত করলেও আমাদের নিরাপত্তায় প্রশাসন কি করছে? আমরা দেশের জন্য বিদেশে বসে ডলার আয় করি। এই ডলারে দেশ চলছে। অথচ আমাদের যান-মালের নিরাপত্তা নেই। আমি যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম নান্নু, তার স্ত্রী বিউটি আক্তারসহ তার বাহিনীর সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত শাস্দি দাবি করছি।
এ বিষয়ে জানতে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুকে একাধিকবার ফোন দিলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।