১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার উদ্দেশ্যে নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে পল্টনের রাজপথ কাপালেন আতাউর রহমান মুকুল।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) বেলা ২ টায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দরা মিছিল নিয়ে সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে পল্টন সমাবেশে যোগদান করেন।
এসময়ে নেতাকর্মীদের সরকার বিরোধী শ্লোগান দিয়ে পল্টনের রাজপথ প্রকম্পিত করে তুলে। পরে মঞ্চে থাকা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা মাইকে মুকুলকে আহবান করেন তার নেতাকর্মীদের শ্লোগান বন্ধ করে বসার জন্য।
এদিকে সমাবেশ সফল করার জন্য মহানগর বিএনপির আওতাধীন বিভিন্ন থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দরা ফকিরাপুল এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে সমাবেশস্থালে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যোগদান করেন।
এসময়ে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আাতাউর রহমান মুকুল বলেন, এই সরকার জোড় জুলুম করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির ফলে সাধারণ মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। তাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা অনিশ্চয়তার দিকে চলে যাচ্ছে। অবৈধ সরকার উন্নয়নের নামে দেশের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করছে, আমরা এই উন্নয়ন চাই না। আমরা চাই বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা, মানুষের ভোটাধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা।
তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, তারা জনগণের ভোটে বিশ^াসী না। আজকে দেখেন শেখ হাসিনা ৩ আসনে দাড়ায় ১টায় ফেল করে আর আমাদের নেত্রী ৫টি আসনে দাড়িয়ে ৫ টাতেই পাশ করে। আপনারাতো অনেক উন্নয়ন করেছেন, তাহলে ভয়পান কেন। একবার জণগনর ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিয়ে দেখবেন তারা কাদের পক্ষে রায় দেয়। জনগণ বলে আপনারা হলেন হাওয়াই মিঠাই একবার চাপদিলে জিরো হয়ে যাবেন। আপনাদের এমন চাপদিবো আপনারা জিরো হয়ে যাবেন।
আমরা এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো ইনশ্লøাহ। সেই সাথে এই দেশের উন্নয়ন হবে, বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন হবে, দুর্নীতি মুক্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা শুধু মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির কথা বলেন। আসলে মুক্তিযুদ্ধ করেছে আমাদের দলীয় প্রধান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। উনি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা না করলে এই দেশ স্বাধীন হতো না আর দেশের মানুষ যুদ্ধে জাপিয়ে পরতো না। কারন আওয়ামীলীগের কোন নেতারা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দেয় নাই। আর কোন জায়গায় আওয়ামীলীগ নেতারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে নাই। দেশের জনগণ জিয়াউর রহমানের ঢাকে যুদ্ধে জাপিয়ে পড়ে ছিলো।
আজকে জিয়াউর রহমানে নাম মুছে ফেলার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছে। কিন্তু পারবে না কারন জিয়াউর রহমানের নাম এদেশের মানুষের হৃদয়ে আছে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। কারন এই ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তাই আসুন আগামীতে একটি তত্ত্ববধায়ক সরকারে অধিনে গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনের দাবিতে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে গণবিপ্লব গড়ে তুলি।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, হাজী ফারুক হোসেন, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল হোসেন, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর ইসলাম মিঠু, সহ-ত্রান বিষয়ক সম্পাদক শহীদ মেম্বর, মহানগর বিএনপি নেতা এ্যাড. বিল্লাল হোসেন, এ্যাড. আব্দুল হামিদ ভাষানী, আল-মামুন, ফরিদ আহম্মেদ, ফারুক চৌধুরী, নেছার উদ্দিন, আলম, হাবিব মেম্বার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদেউস রাজীব, পাপ্পু আহম্মেদ, শাহ আলম, সফিক, মহিলা নেত্রী রাবেয়া বসরী, মহানগর শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, ফজলুল হক, জেলা মৎসজীবি দলের সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, জেলা ছাত্র দলের সাজ্জাদ হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।