ফতুল্লার রঘুনাথপুরে চাঁদা দাবি করে এন. ইসলাম এন্টার প্রাইজ নামক কনষ্ট্রাকশনের ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে হামলা চালিয়ে মারধর করে টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে।
এ শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টার সময় ফতুল্লার আঞ্চলিক পার্সপোর্ট অফিসের পিছনে রঘুরাথপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় এন. ইসলাম এন্টার প্রাইজের এর ম্যানেজার মো: মেহেদী হাসান (২২) বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলো, মৃত আবু সাইদের ছেলে মো: বেলায়েত (২৪), সুমন (১৮), দীন ইসলাম (২২), মতিনের ছেলে সোহাগ (১৯) ও নাইম (১৮)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মো: মেহেদী হাসান এন ইসলাম এন্টার প্রাইজ নামীয় কনষ্ট্রেশন এর ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। অভিযুক্তরা এলাকায় জুট ব্যবসার নামে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অভিযুক্তরা বেশ কিছুদিন ধরে এন ইসলাম এন্টার প্রাইজ নামীয় কনষ্ট্রেশন মালিক নাজমুল ইসলামের কাছ থেকে অযৌক্তিক ভাবে টাকা পয়সা দাবী করে আসছে। অভিযুক্তদের দাবী দাওয়া ভুক্তভোগীর মালিক উপস্থাপন করায় অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিভিন্ন সময় টাকা চেয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে।
ভুক্তভোগী অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে ফতুল্লার রঘুনাথপুর এলাকায় আঞ্চলিক পার্সপোর্ট অফিসের পিছনে তাদের কনষ্ট্রাকশনের কাজ চলছে। শনিবার বেলা ১২টার সময় ভুক্তভোগী লেবার নিয়ে কাজের সাইডে কাজ করাবস্থায় অভিযুক্তরাসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুক্তভোগীর মালিকের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে।
ভুক্তভোগী এর প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা তাকে এলোপাতাড়ীভাবে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে উক্ত প্রতিষ্টানের মালিক নাজমুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম সাইডের কাজ পরিদর্শন করতে আসলে অভিযুক্তরা তাদেরকেও মারধর করে। পরবর্তীতে প্রধান অভিযুক্তের হাতে থাকা চাকু দিয়ে মালিকের ছোট ভাই সাইফুল ইসলামের বাম চোখর উপর আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ।
এসময় হামলায় প্রতিষ্ঠানের মালিক নাজমুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা প্রান নাশের হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীর মালিক ও তার ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে প্রায় ৩২ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।