বন্দরে দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে গ্যারেজ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী হাজী ফাতেমা আক্তার মৌসুমী বাদী হয়ে রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় চাঁদাবাজ রাসেল ও আশরাফুল ইসলামের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামি করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
এর আগে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের মাষ্টারবাড়ী এলাকায় ওই চাঁদা দাবির ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের মাষ্টারবাড়ি এলাকার মৃত শফি উদ্দিন আহাম্মেদ কন্ট্রাকটারে স্ত্রী তার মরহুম স্বামী খরিদকৃত জায়গার উপরে গাড়ী রাখার গ্যারেজ নির্মান কাজ করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় রোববার সকাল ১০টায় মদনপুর এলাকার মৃত আবুল হাশেম মিয়ার মাদক ব্যবসায়ী ও নব্যচাঁদাবাজ রাসেল ও তার ভাই আশরাফুল ইসলামসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী গ্যারেজ নির্মানস্থলে এসে লেবারদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে কাজ বন্ধ করতে বলে।
লোক মারফতে খবর পেয়ে হাজী ফাতেমা আক্তার মৌসুমী ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় উল্লেখিত চাঁদাবাজরা গ্যারেজ নির্মানের জন্য ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই সময় হাজী ফাতেমা বেগম চাঁদা দিতে অস্বিকার করলে চাঁদাবাজরা দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে গ্যারেজ নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় থানায় রিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে বন্দর থানার এসআই আবুল বাসার অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চাঁদাবাজ রাসেল একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসায়ী রাসেল মদনপুর এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে অবাধে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রনসহ চাঁদাবাজি করে আসছে। রাসেলে অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এখানকার শান্তি প্রিয় জনগন।
চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ রাসেলসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেপ্তারের জন্য জেলা পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজের জরুরী হস্তক্ষে কামনা করেছে মদনপুরএলাকাবাসী।