নারায়ণগঞ্জ নগরীর ২নং রেল গেইট সংলগ্ন (পুলিশ বক্স) এলাকার রেল লাইনের দুই
পাশে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে বাহারি রকমের ফলের দোকান।
ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জে ডাবল রেল লাইনের কাজও এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেল লাইনের দুপাশে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হলেও বিশেষ করে ফল ব্যবসায়ীরা অনেকটা ডেম কেয়ার মনে করে তাদের ব্যবসা পরচিালনা করে আসছেন।
এসব অবৈধ ফল ব্যবসায়ীরা সাধারন ক্রেতাদেরকে জিম্মি করে চড়া দামে বিভিন্ন
ধরনের ফল বিক্রি করে। শুধু তাই নয়, সাধারন ক্রেতারা ফলে দাম চড়া শুনে
কিনতে না চাইলে তাদেরকে জবাবদিহি করে তারপর যেতে হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রয়ারি) দুপুরে সরেজমিন ঘুরে নগরীর ২নং রেল গেইট সংলগ্ন
এলাকায় গিয়ে এমনই তথ্য জানান ফল কিনতে আসা সাধারণ ক্রেতারা।
নারায়ণগঞ্জ নগরীর ফলের দোকান গুলিতে প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে
১৩০ টাকা, প্রতি কেজি পেয়ারা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, স্টবেরী ৮০০
থেকে ১০০০ টাকা, কমলা ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, আঙ্গুর ২০০ থেকে ২৫০ টাকা,
সবরি কলা ৪০ টাকা হালি, সাগর কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা হালিতে বিক্রি করা
হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করে একজন সাধারন ফল ক্রেতা জানান, এখানে যারা ফল বিক্রি
করছেন তাদের কাছ থেকে ফলের দাম জানতে চাইলে সেই ফল কিনতে হবে। আর
তা না হলে অপমান অপদস্ত হতে হয়। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারনে ফল
কিনা তো দুরে থাক, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রাদি কিনাও তাদের পক্ষে সম্ভবপর
হয়ে উঠে না।
এসব ফল বিক্রেতারা সাধারন ক্রেতাদের কাছ থেকে যে কোন ধরনের ফলের দাম
(প্রতিদিনের) সব পণ্যের দাম বেড়েছে এই অজুহাতে একেক দিন একেক ধরনের দামে
ফল বিক্রি করছে।
তারা আরো জানায়, এসব ফল ব্যবসায়ীরা যে যার ইচ্ছেমত করে ফলের দাম
বাড়াচ্ছেন। যা কিনা সাধারন মানুষের জন্য খুবই কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে।
এ বিষয়ে তারা নারায়ণগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনের দায়িত্বরত
কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।