আড়াইহাজারে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির নেতা ফারুক, সাতগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ ও যুবদল নেতা হাবিবসহ অন্তত ১৫ নেতাকর্মী হয়েছেন।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আড়াইহাজার উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখী এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৪০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে।
পুলিশের দাবী বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচরুখী এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে। এতে বাঁধা দিলে রাজনৈতিক দলটির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এসময় পুলিশ দলটির নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অনুযায়ী দলটির নেতাকর্মীরা ‘পদযাত্রা’ বের করেছিল।
এবিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ জানান, পুলিশ বিনা কারণে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাঁধা দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে এবং গুলি চালায়। এতে করে আমাদের ৬০- ৭০জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, তাদের মতো শিষ্টাচার বলতে কিছু নেই। তারা একটি দলের হয়ে কাজ করে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক লুৎফর রহমান আব্দু বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচির অনুযায়ী নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে ‘পথযাত্রা’ শুরু করেন।
এসময় নেতাকর্মীরা স্থানীয় পাঁচরুখী বাজারের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের ওপর অর্তর্কিত গুলি, লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন সেবাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া জানান, বিদ্যুৎ, গ্যাস, নিত্যপণ্যসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, সরকারের পদত্যাগ, খালেদা জিয়া ও নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রঘোষিত পদযাত্রার অংশ হিসেবে সাতগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে মিছিল বের করা হয়। এই সময় পুলিশ তাদের পদযাত্রায় বাধা দেয়। এক পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ গুলি ছুড়লে আমাদের ছাত্রদল নেতা নাহিদের শরীরে ছিটা গুলি এসে লাগে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন,রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে মহাসড়কে তীব্র যানজট হলে তাদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। অনুরোধ না শুনে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হলে অ্যাকশনে যায় পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৪০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।