নাসিক ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির নব গঠিত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম
ক্ষোভ। নতুন কমিটিতে ত্যাগীদের স্থান না দিয়ে আওয়ামী ঘেষাদের হাতে নেতৃত্ব
তুলে দেয়ায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
অনেকেই আবার বর্তমান রাজণীতি থেকে নিজেকে ঘুটিয়ে নেয়ার চিন্তাও করছেন। এ
সব সমালোচনা সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ফেসবুকে তীব্র সমালোচনা করে পদত্যাগ করেছেন কমিটির
সদস্য ইকবাল হোসেন ওরফে ভেন্ডার ইকবাল। আরো অনেকই পদত্যাগ করার
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও নেতাকর্মীরা বলছেন ২০২২ সালের ১৯ মার্চ
কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠিত কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা না করেই রাতের আধারে নতুন
করে কমিটি ঘোষণা করা এক প্রকার প্রহসনের রাজনীতি।
জানা গেছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে চারটি ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির
অনুমোদন দেন থানা বিএনপি। কমিটি অনুমোদনের কয়েক ঘন্টা পর জানাজানি
হলে ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। আওয়ামী লীগ ঘেষা
ও নৌকা প্রতীকের জন্য সরাসরি ভোট চাওয়া মো. মোক্তার হোসেনকে সদস্য সচিব
করায় একই কমিটির সদস্য মো. ইকবাল হোসেন রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
নিজের ফেসবুকে সমালোচনা করে পদত্যাগের ঘোষনা দেন।
ফেসবুক পোস্টে ইকবাল হোসেন লিখেন, বিএনপির এমন কমিটিতে থাকতে চাই না,
যে কমিটিতে নৌকার জন্য প্রকাশ্যে ভোট চাওয়া ও মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ
করেছে এমন লোক থাকে। বিএনপির কী লোকজনের অভাব হয়েছে যে ভাড়া করে
লোক নিয়ে পদ দিতে হবে। এরা কী বিএনপির ভাল চায়, নাকি বিএনপিকে ধ্বংস
করার জন্য মাঠে নেমেছে।
ইকবাল হোসেন ছাড়াও কমিটির সদস্য সচিব মোক্তার হোসেনকে নিয়ে স্থানীয়
তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মোক্তারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ঘেঁষা অভিযোগ উত্থাপন করছেন নেতাকর্মীরা। বিগত সময়ে
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া নির্বাচনী
জনসংযোগ ও মিছিল মিটিংয়ে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণের বিভিন্ন ছবিও সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন ত্যাগীরা।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. ইকবাল
হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত
অভিযোগ আমলে নেননি। সদস্য ইকবাল হোসেনের পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন,
কমিটিতে থাকা না থাকা তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। এটা দলীয় বিষয়না।