নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা প্রচুর লাশ চায়। সেটা আওয়ামী লীগ হোক, সাধারণ মানুষ হোক কিংবা বিএনপির লাশ হোক। নানা অপকর্ম করে নির্বাচন বন্ধ করার অপচেষ্টা করা হবে। তারেক জিয়া চাচ্ছেন বাংলাদেশে যেন নির্বাচনটা না হয়। কারণ তিনি মানি লন্ডারিং মামলা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। অস্ত্র মামলা তার বিরুদ্ধে চলছে। তিনি জানেন সঠিক নির্বাচন হলে ১৫১ সিট তারা পাবেন না।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি আন্তর্জাতিক রাজনীতির বাইরে না। আমাদের ভৌগলিক সীমান্ত খুব ইম্পর্ট্যান্ট। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জঙ্গি ধরা পড়েছে। এমন কিছু ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হবে যেগুলো ঘটলে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র মনে হয়।
তিনি বলেন, রাজনীতি হলো গডুত। বিএনপি এখন নির্বাচন নিয়ে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একটি ভাগকে আমি নাম দিয়েছি আম্মা গ্রুপ। যারা সিনিয়র লিডার এবং বেগম খালেদা জিয়াকে বেইজ করে রাজনীতি করেছেন এতদিন। আরেকটা গ্রুপ লন্ডনে থাকা তারেক জিয়ার ফলোয়ার্স। তাদের সাজানো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল ২০০৮ সালে। সবই তো তাদের লোক ছিল। সেখানেও বিএনপি মাত্র ২৯টি সিট পেয়েছিল। একটি গণতান্ত্রিক দেশে একদল নিজেদের বুদ্ধিজীবী দাবী করে। আমার মনে হয় মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত সবার সচেতন হতে হবে। তারা যে প্ল্যান করছে সেটা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ আফগানিস্তানে পরিণত হবে।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয়, মার্চ-এপ্রিল-মে-জুন এই সময়টায় যারা দেশের ভালো চান তাদের সকলের সচেতন হওয়ার দরকার আছে। কারণ যে জিনিসটা তারা করার চেষ্টা করছে সেটি করলো বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চেয়েও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সব দলেই ভালো লোক আছে, বিএনপির মধ্যেও ভালো লোক আছে। আমার মনে হয় এই বিষয়টা তাদেরও দেখা উচিত।
তিনি বলেন, ডিএনডি প্রকল্পের টাকা পাওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল করার চেষ্টা করছি। এ কাজগুলো হয়ে গেলে জনগণের কল্যাণ হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব। মাদক সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি রোধ করা আমাদের একার পক্ষে সম্ভব না। আমি ভালো মানুষগুলোকে বলছি- আমাকে একটু সাহায্য করুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত বিন ফেরদৌস, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, আলীর টেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী প্রমুখ।