1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Narayanaganj Press : Narayanaganj Press
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
আমেরিকায় যাওয়ার স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে গেল শিক্ষার্থী সীমান্তর সীমান্তের রহস্যজট,বাবা বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত জাহাজ শ্রমিকদের হত্যাকারীরা দ্রুত গ্রেপ্তার না হলে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি ফতুল্লায় বিসমিল্লাহ ডাইং কারখানায় আগুন সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে না.গঞ্জে সংবাদ সম্মেলন অপহরণের আড়াই মাস পর ৯ম শ্রেণির ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ বুয়েট ছাত্র নিহতের ঘটনায় আসামিরা ২ দিনের রিমাণ্ডে সোনারগাঁয়ের মাদকাসক্ত ছেলের হাতে বাবা খুন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে সাদাছড়ি বিতরণ জেলা মটরস ওয়ার্কসপ ইউনিয়নের এসপি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান বন্দরে সরকারি খাল দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ 

বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর আমান উল্লাহর স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্ঠতি

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২০৯ Time View

বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর আমান উল্লাহর অষ্টম মৃত্যুদিবস উপলক্ষে স্মরণানুষ্ঠান
অনুষ্ঠতি হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল চারটায় নারায়ণগঞ্জ আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার ও মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর আমান পরিষদের উদ্যোগে এ স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্ঠতি হয়। এতে সভাপতিত্ব করনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর আমান পরিষদরে সভাপতি ডা: শেখ মোঃ মহিউদ্দিন।

বক্তব্য রাখনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও গার্মেন্ট
শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা
এডভোকেট মন্টু ঘোষ, সন্ত্রাস নিমূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি সামাজকি
আন্দোলনের নেতা দেলোয়ার হোসেন চুন্নু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রকি দল- বাসদের
কেন্দ্রীয় সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড নখিলি দাস, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক
জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়, সহসভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, সমমনার
সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমেদ, ন্যাপ নেতা এবি সিদ্দীক, এডভোকেট আওলাদ
হোসেন, বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি জাকির
হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর আমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শংকর গুহ,
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি সাধারণ সম্পাদক বিমল
কান্তি দাস, রাশিদা বেগম প্রমুখ।

স্মরণানুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ বলনে , মীর মোঃ আমান উল্লাহ। ১৯৪৭ সালের ২জুন
নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল মীর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতা আলমাস আলী একজন বড় চাকরিজীবী ছিলেন। মাতা জাহানারা বেগম

ছিলেন গৃহিণী। দাদা ছিলেন দানবীর মীর আব্দুল ওয়াহেদ। অঢেল সম্পদের মালিক
ছিলেন তিনি। মীর মো, আমান উল্লাহ'র শৈশব কেটেছে নারায়ণগঞ্জ শহরে। ঐতিহ্যবাহী বার একাডেমি স্কুলে লেখাপড়া করেছেন ছোটবেলা থেকেই তিনি গান গাইতেন। সেতারা বাজাতেন। কবিতা লিখতেন, নাটক করতেন, নাটক লখিতেন। ছোট বেলায় তিনি খেলাঘর ও উদীচীর সাথে যুক্ত ছিলেন। গোদনাইল এলাকায় একটা গানের দলও ছলি তাঁর।

আমান উল্লাহ ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, সৎ ও সাহসী। চলাফেরা কথার্বাতায় ছিলেন
খুবই সাধারণ। সহজেই মানুষকে কাছে টানাতে পারতেন। এলাকার শ্রমজীবী মানুষ
বিপদে-আপদে পরার্মশ ও মতামতরে জন্য তাঁর কাছে আসতেন। তার আন্তরিকতা
দেখে মানুষ মুগ্ধ হয়ে যেতেন তাঁর আচরণেই বুঝতেন মীর আমান সর্বোচ্চ চেষ্টা
করবনে। তিনি কখনো সহকর্মীদের সাথে মিথ্যা কথা বলতেন না। অহমিকা ছলি
না। ধনী পরবিারে জন্মগ্রহণ করেও অতি সাধারণ জীবন যাপন করতনে।
মীর আমানের বাড়ির এলাকাটি চিল ভারতবর্ষের প্রথম যুগের একটি শিল্পাঞ্চল। এ
অঞ্চলে ১৯৩০ এর দশকে শ্রমিক আন্দোলন ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের সুত্রপাত
হয়েছিল। গোপাল বসাক, অনিল মুখার্জি নেপাল নাগসহ তৎকালীন ভারতবর্ষের
বড় বড় শ্রমিক নেতাদের চারণভূমি ছলি এই গোদনাইল। ১৯৪০ এর দশকে কমরডে
সুনীল রায় চিত্তরঞ্জন কটন মিলে চাকরি নিয়ে শ্রমিক আন্দোলন ও কমিউনিস্ট
আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। এই সুনীল রায়ের হাত ধরেই মীর আমান উল্লাহ
কমিউনিস্ট পাটির সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। ছোট বেলা থেকে তিনি ছিলেন মূলত
সংস্কৃতি জগতের মানুষ কিন্তু কমরডে সুনীল রায় তাঁকে নিয়ে আসলেন শ্রমিক
আন্দোলন ও রাজনীতিতে। তখন কমউিনিস্ট র্পাটি ছিল গোপন পাটি। মীর আমান
ন্যাপের মধ্যে থেকে প্রকাশ্যে রাজনীতি করতেন।

ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী মাসুদা সুলতানাকে তিনি বিয়ে করেছিলেন। পরিবারের পক্ষ
থেকে এ বিয়ে মেনে না নেওয়ায় সবকিছু থাকে বঞ্চিত হয়েছিলেন। সংসার চালাতে
২নং ঢাকেশ্বরী কটন মিলে চাকরি নেন।

১৯৬৮-৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি তাঁর অঞ্চলে প্রথম সরাসরি একজন
লড়াকু সৈনিক ছিলেন। ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা তিনি ছাত্র ইউনিয়ন-ন্যাপ-কমিউনিস্ট
পাটির গেরিলা বাহিনীর একজন যোদ্ধা ছিলেন। তাঁর স্ত্রী মাসুদা সুলতানাও
মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

তিনি এক সময়ে কমিউনিস্ট পাটির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক
(ভারপ্রাপ্ত) হন। ঢাকেশ্বরী সুতাকলের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নেরও সাধারণ
সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু নেতাসুলভ কোন অহমিকা ছিল না তাঁর। পোস্টারে নাম
থাকা, মঞ্চে ওঠা, মিছিলের সামনে দাঁড়ানো বা পত্রিকায় নাম আসার জন্য নেতাদের
অনেকেই অনৈতিক প্রতিযোগিতা করেন।

আমান উল্লাহ ছিলেন একেবারে আলাদা। অনেকে অসৎ পন্থায় নেতৃত্ব দখলের চেষ্টা
করেন; নেতৃত্বের জন্য দলের মধ্যে বিভেদ ও উপদল তৈরি করেন, দলের শৃংখলা নষ্ট
করেন। কেউ কেউ আছেন যারা ব্যক্তিত্বকে প্রাধান্য দেন, নিজের নাম প্রচারের জন্য
পাগল থাকেন । এ সকল বিচ্যুতির একবিন্দু ছিলো না তাঁর মধ্যে।
কমিউনিস্টদের যত গুনাগুণ থাকা উচিৎতার প্রায় সবটুকু তিনি অর্জন করেছিলেন।
তিনি যতটুকু বিশ্বাস করতেন নিজের জীবন দিয়ে পালনও করতনে। সততা ও
নষ্ঠিার দকি থেেক নারায়ণগঞ্জরে শ্রমিক আন্দোলনে ও কমিউনিস্ট আন্দোলনে তিনি
একটা উদাহরণ হয়ে উঠেছিলেন।

তিনি ছিলেন একজন সংস্কৃতিমনা মানুষ। শতভাগ বিজ্ঞান চেতনায় বিশ্বাস ও
অসাম্প্রদায়িক মানুষ। মৃত্যুর পরও মানুষের জন্য কিছু অবদান রাখতে ঢাকা
মেডিকেলের এনাটমিক বিভাগে মরণোত্তর দেহ দান করছিলেন।
জীবনের প্রায় ৫০ বছর ধরে এদেশের মহেনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রামে তিনি ছিলেন
নিবেদিত প্রান। ২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে হার্ট অ্যাটাকে তিনি

মৃত্যুবরণ করনে। শারীরিকভাবে মৃত্যুবরণ করলেও তাঁর জীবন, র্কম ও মতাদর্শ
আমাদের যুগে যুগে অনুপ্রাণতি করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব  নারায়ণগঞ্জ প্রেস কর্তৃক সংরক্ষিত
Designed by RIAZUL