বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন মহানগর বিএনপির একাংশ।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৩ টায় মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃত্বে নগরীর মন্ডলপারা এলাকায় এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এর আগে দুপুরে মহানগর বিএনপির আওতাধীন বিভিন্ন থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা মিছিল নিয়ে কর্মসূচিস্থলে যোগদান করেন।
পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে আতাউর রহমান মুকুলের নেতৃতে পদযাত্রার মিছিলটি নগরীর মন্ডলপারা থেকে বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে চাষাড়া বিজয়স্তম্ভ ঘুরে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এ্যাড. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় পদযাত্রা কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি পারভেজ মল্লিক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার শাহ।
এসময়ে সভাপতির বক্তব্যে এ্যাড. জাকির হোসেন বলেন, প্রতিনিয়ত যেভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি হচ্ছে তাতে করে পরিবার পরিজন নিয়ে এদেশের মানুষ হিমশীম খাচ্ছে। আর এই অবৈধ সরকার জনগনের কথা ভাবছে না। কারন এই নিশি রাতের ভোট চোর সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত না। যারা এই সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করছে। যেমনটা করেছে আমাদের নেত্রী সহ লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পায়। এই অবৈধ সরকার দেশের সংবিধানকে ধ্বংস করে দিয়ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোন দলীয় সরকারের অধিনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভবনা। আর যে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেয়া হয়েছে সে সরকারের আজ্ঞাবাহ। তাই আমরা দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রকে উদ্ধার এবং একটি নিরেপক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে আসি ভবিষ্যত্বেও থাকবো।
এসময়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশের মৃত: গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য, দেশের গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য রাজপথে নেমেছি। আজকে দেশের ভোটাধিকার নির্বাসিত। তাই আসুন ভোটাধিকার, দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহন করি।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী নুরুউদ্দিন আহম্মেদ, ফখরুল ইসলাম মজনু, মনিরুজ্জামান মনির, হাজী ফারুক হোসেন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল, সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শোখন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সরকার আলম, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর ইসলাম মিঠু, শিশু বিষয়ক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মোস্তাক আহম্মেদ, মহানগর বিএনপি নেতা ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, মহানগর বিএনপি নেতা ফরিদ আহম্মেদ, আবুল কাশেম, আল-মামুন, হাবিব মেম্বার, ফারুক চৌধুরী, নেছার উদ্দিন, মহানগর শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, যুগ্ম-আহবায়ক ফজলুল হক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ, সাইদুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা হাজী আনোয়ার হোসেন, রাবেয়া ব¯্র,ি পোকন আলী, আলী হাসান, আমির হামজা, শহীদ হাসান, লিটন, বাবুল, মনির সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।