বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, অনেকেই টিউশন ও টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে ছাত্রলীগ করেন। তৃণমূল কখনও ভুল করে না। তৃণমূলের কন্ঠস্বরকে গুরুত্ব দিয়ে সবগুলো ইউনিট কমিটি হবে। বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি শীঘ্রই গঠন করা হবে। ছাত্রলীগের কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলিয়ান থাকবে।
আধিপত্য, দাপট, ক্ষমতা, দম্ভ আমাদের শক্তি নয়। ব্যক্তিগত শোডাউন বন্ধ করতে হবে। প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের বার্তা যেন শিক্ষার্থীদের পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারি সেদিকে নজর রাখতে হবে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আয়োজিত ছাত্রলীগের এক বিশেষ কর্মীসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আরও বলেন, টানা তিনবার ক্ষমতায় আছি, এতে আত্মতৃপ্ত হবার সুযোগ নেই। আমাদের লড়াই শেষ হয়নি, লড়াই বাকি আছে। এই লড়াইয়ের শেষ আমাদের দেখতে হবে। দুর্নীতিবাজ, খুনিদের রাজনীতির কথা বলে বৈধতা দেবার চেষ্টা হচ্ছে। গণতন্ত্রের বেশ ধরে দুর্নীতিবাজদের পুনর্বাসন করা যাবে না। বিদেশিদের প্রেসক্রিপশন যাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ তাদের সাথে
আপোস নেই।
সাদ্দাম হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রেমিক হবে, ভালোবাসতে শিখবে। তারা মেয়েদের কাছে প্রেমের চিঠি লিখবে। তারা নিপীড়নকারী হবে না। একইসাথে মেয়েদের উপর যারা আঘাত ও নিপীড়ন করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হবে। ছাত্রলীগে লাঞ্চনাকারী, নিপীড়নকারী, চাঁদাবাজদের কোন স্থান নাই। কর্মীসভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ কারও ব্যক্তিগত সংগঠন না। সংগঠনের নাম করে কোন অপকর্ম সহ্য করা হবে না। যদি কেউ করেন হাতে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবো।
এ কর্মীসভায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, যুগ্ম সাঢ়ারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি নিপু, এমপি পুত্র অয়ন ওসমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাইল রাফেল, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।