সোনারগাঁ উপজেলায় অলিম্পিক বিস্কুট কারখানার নারী শ্রমিক (১৯) কে দলবদ্ধ
ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছেন তালতলা তদন্ত
কেন্দ্রের পুলিশ। শনিবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার
করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী শাহরিয়ার আলম শুভ বাদি হয়ে সোনারগাঁ
থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নানাখী পূর্বপাড়া
গ্রামের অহিদুর রহমানের ছেলে মমিন(২১), একই ইউনিয়নের নানাখী গোলনগর
এলাকার হালিমের ছেলে আবু হানিফ(২৫) এবং শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার
মনুয়া গ্রামের ফয়জুল হক দপ্তরির ছেলে ফয়সাল (২০)। গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার
দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার লালাটি এলাকার অলিম্পিক বিস্কুট কারখানার এক নারী
শ্রমিকের সাথে একই কারখানার শ্রমিক সাখাওয়াত হোসেন এর সাথে বন্ধু সর্ম্পক
হয়। বন্ধুতের সুবাদে গত ১০ ফ্রেরুয়ারি রাতে সাদিপুর ইউনিয়নের নয়াপুর বাজারে
ধর্ষক সাখাওয়াতের সাথে নারী শ্রমিকের দেখা হয়।
পরে ধর্ষক সাখাওয়াত নারী শ্রমিকে ফুসলিয়ে তার বন্ধু মমিনের বাসায় বেড়াতে
যাওয়ার কথা বলে নানাখী গোলনগর এলাকায় আবু হানিফের পরিত্যাক্ত মুরগীর
ফার্মে নিয়ে জোরপূর্বক হাত, মুখ বেধেঁ দলবদ্ধভাবে ধর্ষন করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী শাহরিয়ার আলম শুভ বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায়
ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। পরে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. জাকির
রব্বানী নেতৃত্বে সঙ্গীয়ফোর্সদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩ জন
ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেন।
ভুক্তভোগীর স্বামী শাহরিয়ার আলম শুভ জানান, এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি
করেন তিনি বলেন যাতে এমন ঘটনা আর কোন মেয়ের সাথে না ঘটে।
তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাকির রব্বানী জানান, ধর্ষনের ঘটনা মামলা
নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনজন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামিকে
গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।