নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমরা কেউই এই দুনিয়ায় থাকবো না, সকলকে একদিন চলে যেতে হবে। তবে, যতদিন বেঁচে আছি ভালো কাজ করে যেতে চাই। আমার মা মৃত্যুর পূর্বে আমাদের বলে গেছেন আমরা যাতে তাদের দু-জনের (মা-বাবা) মৃত্যুবার্ষিকী এক সাথে পালন করি। আপনারা সকলে আমার বাবা মায়ের জন্য দোয়া করবেন।
আমরা মানুষ, ফেরেশতা নই শয়তানও নই। আমরা চেষ্টা করছি মানুষের জন্য কাজ করতে। একটাই উদ্দেশ্য-আল্লাহকে খুশি করা। মৃত্যুর পর তো মাফ চাওয়ার সুযোগ নেই। তাই আগেই মাফ চেয়ে নিচ্ছি। ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে।
আল্লাহ বলেছেন তুমি ক্ষমা চাও, আমি ক্ষমা করে দেব। আমি আপনাদের কাছে দোয়া ভিক্ষা চাই। আমার আব্বা-মা-ভাইয়ের জন্য যারা দোয়া করতে এসেছেন তাদের সবার পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের জন্য দোয়া করি আল্লাহ সবাইকে ক্ষমা করে দিন।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) শহরের উত্তর চাষাঢ়া হীরা মহল সংলগ্ন মসজিদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পদকে (মরোণত্তর) ভূষিত প্রয়াত একেএম শামসুজ্জোহার ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান আরও বলেন, আপনারা আমাদের ৪ পুরুষের সঙ্গে আছেন বলেই আল্লাহ আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিচ্ছেন। আমি সবাইকে আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। তিনি বলেন, রাজনীতি করতে গেলে অনেক কথাই বলতে হয়। হয়তো অনেক সময় অনেক কথা বলেছি, এখন যদিও বলি না। তারপরও আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমার পিতা দেশের অন্যতম ধনী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও আমাদের জন্য কিছুই রেখে যাননি। যার জন্য আমরা গর্ব বোধ করি। আমরা প্রত্যেকে নিজের মা-বাবার দোয়ার কারনেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছি।
আমার বাবা যতদিন বেঁচে ছিলেন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। আমিও চাই যাতে আমার মৃত্যুটাও আপনাদের জন্য কাজ করতে করতে হয়। কেননা দুনিয়াতে মানুষের সেবা করার চেয়ে উত্তম কাজ আর হতে পারে না।
শামীম ওসমান বলেন, আমার ভাই সেলিম ওসমানের অনেক বড় অপারেশন হয়েছে। উনি সাহসী মানুষ এ শরীর নিয়ে মানুষের জন্য একের পর এক কাজ করে যাচ্ছেন। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন।
দোয়া মাহফিলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দনশীল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. সামসুল ইসলাম ভুইয়া, বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু জাফর চৌধুরী বিরু, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি আসিফ হাসান, কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ সেক্রেটারী মির হোসেন মিরু, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নেত্রী ড.শিরিন শারমিন, ও মরহুমের নাতি ইমতিনান ওসমান অয়ন, সাবেক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাফেল, সেক্রেটারী হাসনাত রহমান বিন্দু, হাবিবুর রহমান রিয়াদ, হাজী সোহাগ রনি সহ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতা-কর্মী ও স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।