অপরদিকে ড্রাইভার পদে নিয়োগ প্রাপ্ত তানজিল হোসেন বলেন, আগে জানতাম ডিসি অফিসে চাকুরির নাম নিলেই দশ থেকে পনের লাখ টাকা গুনতে হতো। সেই টাকার ভয়ে প্রথমে আবেদন করতে চাইনি। পরে পরিবারের সদস্যদের পরামর্শে চাকুরির আবেদন করি। চাকরি পেতে মাএ একশ টাকার ব্যাংক ড্রাফট লেগেছে। এখন আমি ও আমার পরিবারের সবাই খুশি।
নিয়োগ পাওয়া সাজ্জাদ বলেন, এতো দিন জানতাম ঘুষ না দিলে চাকুরি হয় না। এখন বুঝলাম ঘুষ ছাড়াও নিজের মেধা ও যোগ্যতায় চাকুরি পাওয়া সম্ভব। তাই বিনা পয়সায় চাকুরি পেয়ে জেলা প্রশাসক দপ্তরের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উক্তি অনুযায়ী প্রতিটি শুন্য কোঠায় জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। তাই স্ব স্ব দপ্তরের শুন্য কোঠা গুলো চিহ্নিত করে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আর আমাদের এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। জেলা প্রশাসক বলেন সরকারি বিধি অনুযায়ী একশত ভাগ স্বচ্ছতার মধ্যে রাজস্ব শাখায় নিয়োগ দিতে পেরে নিজেদের গর্বিত মনে করছি।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, রাজস্ব শাখার ৭টি শুন্য পদে ৩২ জন নিয়োগের নিমিত্তে ৩০ জন কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন বিহীন নিজেদের যোগ্যতা সাপেক্ষে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছেন।কাউকে ব্যাংক ড্রাফট বিহীন একটি টাকাও বেশি গুনতে হয়নি।সম্পুর্ন নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়েছে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অধীনে। এখানে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক অফিসের কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগই নাই বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপরও যদি কোনো ধরনের ঘুষ আদায়কারী অথবা লেনদেনের তথ্য সুনির্দিষ্ট প্রমানের ভিত্তিতে পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে স্পষ্ট হুশিয়ারি জানান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, জেলা প্রশাসক অফিসের রাজস্ব শাখা ৭টি শুন্য পদে ৩২জনের মধ্যে ৩০ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়,এর মধ্যে ২টি পদে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া পরবর্তী পূর্ব নিয়োগের মাধ্যমে পূর্ণরায় নিয়োগ দেয়া হবে।
পদগুলো নিন্মরুপ। ১)নাজির কাম ক্যাশিয়ার (০৪পদ) ২)অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক(০৪পদ) ৩)সার্টিফিকেট পেশকার (০৪পদ)
৪) সার্টিফিকেট সহকারী(০৪ পদ) ৫)ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারী(০৪ পদ) ৬)মিউটেশন সার্টিফিকেট সহকারী (০৬পদ) ৭)গাড়ী চালক(০৬পদ) ।