ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর উদ্যোগে শনিবার সকালে নবীন আলেম কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুহাম্মদ মেহেদী হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ এইচ এম শাহীন আদনান এর সঞ্চালনায় নবীন আলেম ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম
রিয়াদ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, ভারতবর্ষে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছেছে সাহাবায়ে কেরামের যুগেই। তখন থেকে ইসলাম এ দেশের মানুষের মনিকোঠায় স্থান করে নেয়। ইংরেজরা যখন ১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজদ্দৌলাকে পরাজিত করে এদেশে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে নেয় তখন থেকেই এদেশের মানুষ পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে যায়।
সত্যের অতন্দ্র প্রহরী, চির স্বাধীন ওলামায়ে কেরাম এ পরাধীনতাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। তারা স্বাধীনতার পক্ষে অনুপ্রেরণা যোগাতে থাকেন নিরবে নিরবচ্ছিন্নভাবে, বিরোধীতা, বিদ্রোহ ও সংগ্রামের উপর্যপরি কর্মসূচি দিয়ে অতিষ্ঠ করে তোলেন ক্ষমতাশীন ইংরেজ বেনিয়াদের। ওলামায়ে কেরামের উপর নেমে আসে নির্যাতনের স্টিম রোলার। সহায়-সম্পদ হয়ে যায় বাজেয়াপ্ত। জেল-জুলুম, হত্যা নির্যাতন, দেশান্তর, দ্বীপান্তর কোন কিছুই বাদ যায়নি। কিন্ত কোন কিছুই চির সংগ্রামী ওলামায়ে কেরামকে অবদমিত করতে পারেনি। তাদের ছড়ানো স্বাধীনতার সেই চেতনা ক্রমান্বয়ে আন্দোলিত হতে থাকে সারা দেশে। বলতে গেলে দারুল উলূম
দেওবন্দ ও তার আদর্শ অনুসারীরাই পরাধীনতার নিকষকালো অন্ধকারাচ্ছন্ন অমানিশায় স্বাধীনতার চেরাগ জ্বালিয়েছিলেন। জাগিয়ে তুলেছিল এদেশের মৃত প্রায় মানুষের মাঝে স্বাধীনতার প্রদীপ্ত চেতনা।
১৭৫৭ সালে স্বাধীনতা আন্দোলনের পর পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় লোমহর্ষক নির্যাতনের স্বীকার হতে হয় স্বাধীনতার স্বপ্ন লালন করা ওলামায়ে কেরামকে। লাখ লাখ আলেমকে প্রকাশ্যে জবাই করে শহীদ করা হয়। সন্ত্রাস ও ভীতি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং স্বাধীনতাকামী মুক্তিপাগল দেশবাসীর মনোবলকে ভেঙ্গে দেওয়ার মানসে দিনের পর দিন শহীদানের লাশ গাছে লটকিয়ে রাখা হয়।
শেরশাহী গ্রান্ড ট্রাংক রোডের এমন কোন একটি বৃক্ষ বাকি ছিল না, যেখানে শহীদদের লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়নি। কোন আলেমকে দেখলেই তাদের নির্বিচারে হত্যা করা হতো। হতাশার ঘন আমানিশা ছেয়ে ফেলে এই উপ- মহাদেশকে।
নবীন আলেম সংবর্ধনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান রোমান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, ছাত্র আন্দোলন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক, নোমান আহমদ, তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক এম এম জাহিদুল ইসলাম, প্রকাশনা ও দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, কওমী মাদ্রাসা সম্পাদক এইচ এম ফজলুল করীম, আলীয়া মাদ্রাসা সম্পাদক মুহাম্মদ মেহেদী হাসান , স্কুল ও কলেজ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সাঈদ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মদ আনিসুর রহমান,সদস্য মুহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম সহ মহানগর মজলিসে শুরার দায়িত্বশীলবৃন্দ।