বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে বিএনপির ১০ দফা দাবিতে সরকার বিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি
সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছিলো।
শনিবার (৪ মার্চ) বিকেল তিনটায় বন্দরের সোনাকান্দা এলাকায় সংক্ষিপ্ত পথসভা শেষ করে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয় এবং বন্দরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে তৃতীয় শীতলক্ষা সেতুর নীচে এসে শেষ হয়।
বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক নুর মোহাম্মদ পনেছের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব নাজমুল হক রানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমান।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফউদ্দিন বকুল ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, এদেশ স্বাধীন করেছিলাম গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে, দেশের মানুষ যাতে দুমুঠো ডাল ভাত খেতে পারে সেই স্বপ্ন বুকে নিয়ে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও গণতন্ত্রের জন্যে আন্দোলন করতে হয়, দেশের মানুষকে খাবার কিনে খেতে পারছে না। এই লজ্জা আমি রাখবো কোথায়।
পাকিস্তান আমলে ২২ পরিবার এদেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে, এখন হয়েছে ২২ হাজার পরিবার। এই ২২ হাজার পরিবারের লোকজনই পুরো ১৮ কোটি মানুষের মুখের আহার কেড়ে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন আর কলাগাছ ফুলে হচ্ছেন বটগাছ। এই হাসিনা সরকার দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমাদের আজকের এই সমাবেশ বিএনপিকে ক্ষমতা আনার জন্যে আয়োজন করা হয়নি। এই পদযাত্রা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে দেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে। দেশের দ্রব্যমূল্য আজ
সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইওে চলে গেছে। দেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়েছে। এ থেকে পরিত্রানের লক্ষ্যে এবং দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা এসেছি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে এদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো। সে আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও প্রতিটি অঙ্গ সংগঠন রাজপথে লড়াই করে যাবে।
এসময় পদযাত্রায় মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফেস্টুন- ব্যানারে সুসজ্জিত হয়ে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই এবং সরকারের পদত্যাগ ও গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ ১০দফা দাবিতে শ্লোগান দেন।
এদিকে কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচিকে সফল করার লক্ষ্যে দুপুর থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন সুসজ্জিত হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই শ্লোগানে শ্লোগানে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বন্দও সোনাকান্দা এলাকায় এসে জড়ো হতে থাকে।
পদযাত্রা কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এড. সরকার হুমায়ূন কবির, মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ মো: রেজা রিপন, সদস্য এড. রফিক আহমেদ, মাসুদ রানা, অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান, মাহমুদুর রহমান, রাশিদা জামাল, বরকত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান দুলাল, হাবিবুর রহমান মিঠু, শাহিন আহমেদ, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ, বিএনপি নেতা মহি উদ্দিন শিশির, হারুন উর রশিদ লিটন, নজরুল ইসলাম সরদার, আবুল হোসেন রিপন, মহানগর যুবদল নেতা সহিদুল ইসলাম, বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন টিপু, বাবু খান, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক শাহাদুল্লাহ মুকুল, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক জাহিদ খন্দকার, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সমন্বয়ক মামুন ভূইয়া, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মমিনুর রহমান
বাবু, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, সাধারণ সম্পাদক আয়েশা আক্তার দিনা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবু রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, কৃষক দল নেতা আক্তার হোসেন সবুজ, মনোয়ার হোসেন সোহেল, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।