কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি।
শনিবার (১১ মার্চ) বিকেল ৩ টায় নগরীর মন্ডলপারা এলাকায় কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক হাজী নুরুউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও সাবেক মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এম এইচ মামুন।
এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির আহবায়ক হাজী ফারুক হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সরকার আলম, যুগ্ম-আহবায়ক জুলহাস, পারভেজ মল্লিক, বন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, সদস্য সচিব এ্যাড. শরীফুল ইসলাম শিপলু, যুগ্ম-আহবায়ক মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক,বন্দর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. বিল্লাল হোসেন, সদস্য সচিব এ্যাড. আনিছুর রহমান মোল্লা, মহানগর বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান, টিটু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার শাহ, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাকীব হোসেন রাজ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ¦ আতাউর রহমান মুকুল বলেন, দেশের অন্তিম মূর্হুতে মেজর জিয়ার আগমন ঘটে ছিলো। ৭১ সালে যখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীরা নিরিহ বাঙ্গালীদের গুলি করে হত্যা করছিলো। ঠিক তখনই মেজর জিয়া নিজের দায়িত্ব নিয়ে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে ছিলেন। তখন আওয়ামীলীগের অনেক বড় বড় নেতা ছিলো তারা কিন্তু প্রাণের ভয়ে স্বাধীনতার ঘোষনা দেন নাই। আবার ৭ই নভেম্বর দেশের ক্লান্তিলগ্নে সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আগমন হয়ে ছিলো। শুধু তাই নয় তৎকালিন আওয়ামীলীগ আমলে যখন দেশে এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো। মেজর জিয়া নির্বাচিত হয়ে দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
এসময় তিনি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের এক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, তিনি বলেন বিএনপি কোন আন্দোলন করতে পারে না। তারা চায় আমরা আন্দোলনের নামে দেশে জালাও পোড়াও করি, আর তারা তাদের এজেন্ডের মাধ্যমে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে সেই দোষ বিএনপির উপর চাপিয়ে দিয়ে আবারো ক্ষমতায় আসতে। বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ^াসী জালাও পোড়াও করে আওয়ামীলীগ।
আমরা সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম করছি। যেভাবে দিন দিন বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। তাতে করে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে হীমশীম খাচ্ছে। আর সরকারের এমপি মন্ত্রীরা দুর্নীতি করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। আর গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলন করার কারনে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।
মনে রাখবেন, আপনারা ক্ষমতা হারালে দেশ ছেড়ে পালান কিন্তু বিএনপির নেতারা কখনই দেশ ছেড়ে পালায় না। আপনারা দেশের মানুষের সাথে যে অন্যায় করেছেন। তার বিচার এই দেশের মাটিতে হবে। প্রতিটি অপরাধের বিচার এদেশের জনগন করবে।
প্রধানবক্তা হিসেবে আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আজকে আমরা কেন এই মানববন্ধন করছি দেশের গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিচার ব্যবস্থায় স্বাধীনতা ও দেশের মানুষের ভোটাধিকার আদায়ের জন্য। আপনারা জানেন আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রন করে ফ্যাসিবাদী সরকার তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। কারন তারা জানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি বাহিরে থাকে তাহলে অবৈধ সরকারের পতন নিশ্চিত হবে। আমাদের ১০ দফা দাবির প্রয়োজন নাই, আমরা চাই গণতন্ত্র হরণ কারী শেখ হাসিনার পতন হলেই দেশের মানুষ তাদের অধিকার ফিরে পাবে।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী ইসমাইল হোসেন, মনোয়ার হোসেন শোখন, আমিনুর ইসলাম মিঠু, সদর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক সারোয়ার মুজাহিদ মুকুল, কাউছার আহম্মেদ, আনোয়ার মাহমুদ বকুল, বন্দর খানা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ফারুক চৌধুরী, আল-মামুন, নেছার উদ্দিন,বন্দর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ফরিদ হোসেন, মো: সাফী, শহীদ মেম্বার, স্বপন মেম্বার, হাবিব মেম্বার, বাবুল হোসেন, মনির মেম্বার, আমিনুল ইসলাম, মহানগর শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মনির মল্লিক, ফজলুল হক সহ মহানগর বিএনপির আওতাধীন সদর থানা, বন্দর থানা ও বন্দর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।